নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৫। গৃহহীন প্রায় আট লক্ষ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ হাজার বাড়ি। কেরলের সঙ্কটে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলা। ১০ কোটি টাকার আর্থিক ত্রাণ সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃষ্টি থামার পর জলবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে সাবধান থাকতে হচ্ছে প্রশাসনকে।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃষ্টি থেমেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। সব জেলা থেকে রেড অ্যালার্ট তুলে নেওয়া হয়েছে। তবু বন্যা বিধ্বস্ত কেরলের ছবিটা এখনও ভয়ঙ্কর। কালামাসেরি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই। সেখানে আর দেহ রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দাবি, শতাব্দীর ভয়ঙ্কর বিপর্যয় সামাল দিতে কম করে ২ হাজার কোটি টাকা দরকার।  


ধুধু জলরাশির মধ্যে আটকে অসংখ্য মানুষ। আশ্রয় নেই, খাবার নেই। রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করছে সেনাবাহিনী। 


পথনমথিট্টা, এর্নাকুলাম, আলাপ্পুঝা জেলায় রেড অ্যালার্ট উঠলেও অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি রয়েছে। থিরুভাল্লা, পথনমথিট্টায় জলে আটকে থাকা মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 


ত্রিশূর ও কুট্টানড়ের বহু এলাকা নতুন করে প্লাবিত। শুধু কুট্টানড়েই নৌসেনার পনেরোটি বোট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। চালাকুড়ি ও পেরিয়ার নদীর জল ঢুকে প্লাবিত ত্রিশূরের কুন্ডুর ও পুভাথুসেরি। বন্যার মধ্যেও যাঁরা ঘর ছাড়তে নারাজ, তাঁদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে বায়ুসেনার দুটি কপ্টার। রোগের প্রকোপ সামাল দিতে কুট্টানড়ে একশো ডাক্তারের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে মেডিক্যাল হাব। 


বন্যার জলে স্কুল সার্টিফিকেট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কোঝিকোড়ের করণথুরে আত্মঘাতী হয়েছেন উনিশ বছরের এক যুবক। স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ, গির্জা - সব বদলে গিয়েছে ত্রাণ। ত্রাণ শিবিরে শৌচালয়ের অভাব প্রকট। খাবারের সঙ্কটও তীব্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লোককে দোকান ভেঙে খাবার সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে। পেট্রোলপাম্প জলে ডুবে যাওয়ায় কোঝিকোড়ে জ্বালানি সংকট চলছেই। 


আরও পড়ুন- ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কোন পথে সিপিএম-কংগ্রেস সমঝোতা?