নিজস্ব প্রতিবেদন:  নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। রাজ্যগুলির মধ্যে কেরল প্রথম এই ধরনের পদক্ষেপ করল। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে ৬০টি মামলা হয়েছে। যেগুলি সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরল তাদের আবেদনে জানিয়েছে, এই আইন সংবিধানের ১৪, ২১ এবং ২৫ অনুচ্ছেদের বিরোধী। অনুচ্ছেদ ১৪-তে নাগরিকের সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ২১ –এ বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ছাড়া কোনও নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা যাবে না। অনুচ্ছেদ ২৫-এ বিবেকের স্বাধীনতায় দেশের সব নাগরিক সমান। ২০১৫ পাসপোর্ট আইন এবং বিদেশি (সংশোধনী) নির্দেশ আইনকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কেরল সরকার।


আরও পড়ুন- NRC-CAA নিয়ে কংগ্রেসের গালভরা বৈঠকে ভাঙা হাট, গরহাজির তৃণমূল-সহ ৬ বিরোধী দল


উল্লেখ্য, সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় প্রথম সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সিএএ প্রত্যাহার প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করে কেরল সরকারই। অবিজেপি শাসিত প্রায় সব রাজ্যগুলি সিএএ-এনআরসি কার্যকর করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিকভাবে বিক্ষোভ চলছে দেশজুড়ে। সোমবার সিএএ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে পৌঁছতে কংগ্রেস,এনসিপি-সহ ২০টি বিরোধী দল বৈঠক করেছে। তবে, সেই বৈঠকে মমতা, মায়াবতী, অরবিন্দ কেজরীবাল, স্টালিন এবং উদ্ধব ঠাকরে উপস্থিত না থাকায় ওই জোটের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।