নিজস্ব প্রতিবেদন: আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে কেরলে নান ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাঙ্কো মালাক্কালকে। বুধবার তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল কেরল হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় জলন্ধরের রোমান ক্যাথোলিক চার্চের বিশপ ফ্রাঙ্কো মালাক্কালকে। মালাক্কালের বিরুদ্ধে কেরলের একটি চার্চের নানকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪-২০১৬ সালের মধ্যে তাঁকে ১৩ বার ধর্ষণ করেছেন মালাক্কাল,  এমনটাই অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী ওই নান।


মালাক্কালকে গ্রেফতারের দাবিতে ভ্যটিক্যানে চিঠি লেখেন কেরলের নানদের সংগঠন। তার পরেই সাময়িকভাবে ফ্রাঙ্কোকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নির্যাতীতা নান অভিযোগ করেছিলেন মালাক্কাল তাঁকে ২০১৪ সালের ৫ মে কেরলের কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। কিন্তু মালাক্কাল পুলিসের জেরায় দাবি করেছেন, তিনি ওই সময়ে কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টে ছিলেন না। তবে তিনি ওই তারিখে কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে তিনি থাকেননি।


আরও পড়ুন-ভারতের ৪৬ তম প্রধান বিচারপতি হলেন রঞ্জন গগৈ


এদিকে কেরল পুলিস বিশপের ওই দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টের লগবুক ঘেঁটে ও বিশপের গাড়ির চালক ও কনভেন্টের নানদের জেরা করে জানা গিয়েছে ওই তারিখে বিশপ ফ্রাঙ্কো কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টে রাত কাটিয়েছিলেন।


এখানেই থেমে থাকেনি পুলিস। সংগ্রহ করা হয়েছে বিশপের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের বিস্তারিত তথ্য। দেখা যাচ্ছে ২০১৪ সালের ৫ মে বিশপ ফ্রাঙ্কো কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টে রাত কাটিয়েছিলেন। এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়ে বিশপ কোনও কথা বলেননি বলে দাবি করেছে কেরল পুলিস।


নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে আরও বিপাকে পড়েন বিশপ ফ্রাঙ্কো। তিনি পুলিসকে ৬ মে একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও জমা দেন। তিনি দাবি করেন, ওই নানকে তিনি যদি ধর্ষণ করতেন তাহলে তিনি ওই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতেন না। পুলিস সেই ভিডিও পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেতে পেয়েছে ওই ভিডিও ফুটেজটি জাল। শুধু তাই নয় ভিডিও ফুটেজে নানকে খুবই মর্মাহত দেখিয়েছে।


আরও পড়ুন-দেবের ‘পাব্লিসিটি স্টান্ট’ নাকি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’! দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিও


অভিযোগকারী নান তার অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৫ মে কুরাভিলাঙ্গাদ কনভেন্টে ছিলেন ২০ নম্বর রুমে। রাতে বিশপ ফ্রাঙ্কো তাঁকে তাঁর ঘরে ডাকেন ও তাঁকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয় ব্ল্যাকমেইল করে তাঁকে ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বার ধর্ষণ করেন।