নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিক সমাজ, নারী সংগঠন এবং সন্ন্যাসিনীদের সম্মিলিত চাপের মুখে কেরলের সন্ন্যাসিনী ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কালের নামে সমন জারি করতে বাধ্য হল সে রাজ্যের পুলিস। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ৬ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পর সমন জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মূলত, জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিশপকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। কেরলের এই ঘটনায় সমাজের প্রায় সব স্তর থেকেই বিশপের গ্রেফতারির দাবি উঠেছে। সন্ন্যাসিনী নিজেই অভিযোগে বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১৩ বার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। হাইকোর্টে আবেদন করার পরও পুলিস এই ঘটনায় পদক্ষেপ করতে দ্বিধাগ্রস্থ বলে অসন্তোষ জমা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিগৃহীতার ভাই জানিয়েছেন, ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কাল-সহ আরও দুই যাজক তাঁর বন্ধুকে ৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছে। তারা বলেছে, অভিযোগ প্রত্যাহার করা হলে এই টাকা দেওয়া হবে অভিযোগকারিণীর পরিবারকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশদে জানানোর জন্য রাজ্য পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, আগামী কাল হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির আগে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে কেরল পুলিস সেই বৈঠকেই অভিযুক্ত বিশপকে গ্রেফতার করা হবে কি না, তা ঠিক করা হবে। আরও পড়ুন- রাজ্যপালের কাছে আজীবন কারাদণ্ডের মুকুবের আর্জি আসারামের


নিগৃহীতা ছাড়া আরও চার সন্ন্যাসিনী বিশপের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন। এইসব সন্ন্যাসিনীরা আরও অনেকের সঙ্গে মিলে এ বিষয়ে কেরল জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তবে শুধু কেরলেই নয়, প্রতিবাদ হচ্ছে জলন্ধরেও। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের জলন্ধরের রোম্যান ক্যাথলিক ডায়েসেস-এর অধীন সাইরো-মালাবার ক্যাথলিক চার্চের সহ্গেই যুক্ত অভিযুক্ত বিশপ ফ্র্যাঙ্কো এবং নিগৃহীতা। এই চার্চের প্রাক্তন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ন্যাসিনীদের উদ্দেশে চিঠি লিখে এ বিষয়ে মুখ না খোলার কথা বলেছেন 'মাদার সুপিরিয়র'। তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ভারতের ভ্যাটিকানের প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা। সেখানে বলা হয়েছে, বিশপ 'রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক' ক্ষমতা প্রয়োগ করে অন্যায় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে আবার অভিযুক্ত বিশপের পক্ষ নিয়ে দ্য মিশনারিজ অফ জিসাস কংগ্রেগেশন দাবি করছে, চক্রান্ত করে চার্চের বদনাম করার লক্ষ্যেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।


এই আবহেই বিশপকে সমন ধরিয়েছে পুলিস। ফলে, এর পর গ্রেফতারির পথেও হাঁটা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে।