নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যার জমি বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতায় আস্থা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিসন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ওই ডিভিসন বেঞ্চ শুক্রবার মধ্যস্থতার নির্দেশ দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মধ্যস্থতার জন্য গড়া হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খলিফুল্লার নেতৃত্বে মধ্যস্থাকারী প্যানেল কাজ করবে। প্যানেলে থাকবেন আরও দু'জন। তাঁদের মধ্যে একজন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ও বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু।


শীঘ্রই ঘোষণা হবে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। দু'মাসের বেশি সময় ধরে চলবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে অযোধ্যা বিবাদের মধ্যস্থতা, সেদিকেও নজর সম্ভবত ছিল সুপ্রিম কোর্টের।



কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চার সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে এই প্রক্রিয়া। আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। আর এই সময়ের মধ্যে মধ্যস্থতার কোনও বিষয়ই প্রকাশ্যে আনা যাবে না।


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ গোটা প্রক্রিয়াটাই করতেই বন্ধ ঘরে। অত্যন্ত গোপনে। পুরোটাই ক্যামারাবন্দি করা হবে। আর মধ্যস্থতা চলার সময় কোনওরকম রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। কোনও সংবাদমাধ্যম তা প্রকাশও করতে পারবে না। কোথাও প্রকাশিত হলে তাকে আদালত অবমাননা হিসেবেই ধরা হবে।



আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ফৈজাবাদে প্রথম বৈঠক হবে। উত্তর প্রদেশ সরকারকে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিতে পারবেন মধ্যস্থতাকারীরা।


প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিসন বেঞ্চে ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ শুরু হয় অযোধ্যা মামলার শুনানি। শুরু থেকেই আদালত মধ্যস্থতার মাধ্যমে অযোধ্যা বিবাদের সমাধান সূত্র বের করার পক্ষে ছিল।



এ নিয়ে সবপক্ষের মতামত চাওয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। কিন্তু এ নিয়ে ঐকমত্য পৌঁছানো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিবাদ মধ্যস্থতাকারীদের হাতেই তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট।