নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি সামলে প্রশংসিত হয়েছিলেন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজাকে (KK Shailaja) স্বীকৃতি দিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘও। অথচ নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন না শৈলজা। কেরলের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছে বাম জোট। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছাড়া পুরনো মন্ত্রিসভার আর কাউকে রাখা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার শপথপাঠ মন্ত্রিসভার। শৈলজাকে (KK Shailaja) বাদ দেওয়ায় সমালোচনার মুখে কেরলের বাম সরকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সিপিএম বিধায়ক জানান,''মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া গত মন্ত্রিসভার কাউকেই রাখা হচ্ছে না। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। এটা করার সাহস শুধু আমাদের দলেরই রয়েছে। অনেকে ভালো কাজ করেছেন। তাঁদের নির্বাচনে টিকিটই দেওয়া হয়নি। আমরা নতুন মুখকে সামনে আনতে চাই।''


কেরলের মট্টানুর থেকে রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন শৈলজা (KK Shailaja)। নিপাহ, কোভিডের মোকাবিলায় যেভাবে পদক্ষেপ করেছেন, তাতে গোটা দেশ চিনেছিল তাঁকে। অথচ তিনিই বাদ! শৈলজার (KK Shailaja) হয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও (Shashi Tharoor)। তাঁর টুইট, ''এটা দুঃখজনক, কেরলের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন শৈলজা টিচার। পারদর্শিতা ও দক্ষতা ছাড়া আমার মনে হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি পরোপকারী, সহানুভূতিশীল ও সহজগম্য। কোভিড বিপর্যয়ের সময় তাঁর কাছে সহজেই পৌঁছনো যেত। ওঁর অভাব অনুভূত হবে।''



তবে শৈলজাকে বাদ দেওয়া নিয়ে অনড় বাম জোট। সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য এমএ বেবি বলেন,''আরও অনেক প্রবীণ ও প্রথমবারের মন্ত্রী ভালো কাজ করেছেন। নতুন সরকারে কাউকে রাখা হয়নি। এটা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পূর্বসূরীদের মতো নতুন মুখরাও কাজ দেখানোর সুযোগ পাবেন। মনে করে দেখুন, গত সরকারেও থমাস আইস্যাক ও জি সুধাকরণ ছাড়া বাকিরা সকলেই ছিলেন নতুন মন্ত্রী।''     


আরও পড়ুন- 'রাজ্য পুলিসে ভরসা নেই', SIT-এর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মৃত দুই BJP কর্মীর পরিবার