জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শনিবার ভোর থেকেই ফের উত্তপ্ত মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর সীমান্ত এলাকা। গোলাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত ১৬ জন। এর মধ্য়েই বীরেন সিং সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিল এনডিএ শরিক কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। সংগঠনের তরফে প্রধান টেংমাং হওকিপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজ্যের যে পরিস্থিতি তাতে আর বীরেন সিং সরকারের প্রতি সমর্থন দেওয়া সম্ভব নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আরও ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের, জেনে নিন বেতন বাড়বে কত


এদিকে, আগামী ২১ আগস্ট শুরু হচ্ছে মণিপুর বিধানসভার অধিবেশন। সেই অধিবেশনে রাজ্যের অন্যান্য কুকি বিধায়করা যোগ দেবেন না বলে শোনা যাচ্ছে। এদের সবারই দাবি, রাজ্যের বর্তমান যে পরিস্থিতি তার পেছনে রাজ্য সরকারে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। চূড়াচন্দ্রপুরের বিজেপি বিধায়ক এল এম খাউতে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি তাতে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। কুকি, জোমি ও হামরা বিধায়করা অধিবেশনে যোগ দেবেন না। রাজ্য বিধানসভায় মোট ৬০ বিধায়কের মধ্যে ১০ জন বিধায়ক রয়েছেন যারা কুকি, জোমি ও হামরা সম্প্রদায়ভূক্ত।


মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির নিজের বিধায়ক রয়েছেন ৩৭ জন। তাদের সমর্থন দিয়েছেন ৭ এনপিপি, ৫ এনপিএফ ও ৩ নির্দল বিধায়ক। বিরোধীদের মধ্যে রয়েছেন ৫ কংগ্রেস ও ১ জেডিইউ বিধায়ক।


উল্লেখ্য, মণিপুরের হিংসায় এখনওপর্যন্ত ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে। গত ৪ মে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর যে ঘঠনা ঘটেছিল সেই সময় সন্নিহত থানার ৫ পুলিস কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় ৩০০ জনকে এখনওপর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিস। রাজ্যের দুই জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কীভাবে থামবে তার কোনও দিশা এন বীরেন সিং সরকারের কাছে নেই। রাজ্য মেইতি জনগোষ্ঠী রয়েছেন ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে, কুকিরা রয়েছে ৪০ শতাংশ। মেইতেইরা রয়েছেন মণিপুরের সমতলভূমিতে। অন্যদিকে, কুকিরা রয়েছেন পাহাড়ি এলাকায়। এখন মেইতিইদের তপসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার কথা উঠছে। তাতেই সংঘর্ষে শুরু হয়েছএ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)