নিজস্ব প্রতিবেদন: একের পর এক সেনা পর্যায়ের বৈঠকের পরও লাদাখে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা কমেনি।  পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার উপস্থিতি বাড়িয়েছে ভারত। এরকম এক পরিস্থিতিতে সামরিক পদক্ষেপের কথাও মাথায় রাখছে সেনা। তবে তা একমাত্র আলোচনা পথ বন্ধ হলেই। জানালেন চিফ অব আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিপিন রাওয়াত সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, 'লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সামরিক পদক্ষেপের পথ খোলা রয়েছে। কিন্তু তা নেওয়া হবে একমাত্র সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা ব্যার্থ হলেই।'


আরও পড়ুন-অবনতি হয়নি তবে, গভীর কোমাচ্ছন্নে প্রণব মুখোপাধ্যায়


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোকা লা-য় ভারত-চিন উত্তেজনার সময় জেনারেল বিপিন রাওয়াত ছিলেন সেনাপ্রধান। চিনের গা জোয়ারির পুরোটার সাক্ষী তিনি। রাওয়াত এদিন আরও বলেন, চিনের যে কোনও হুমকির মেকাবিলায় তৈরি ভারতীয় সেনা। সেক্ষেত্রে যে কোনও স্তরে যোগাযোগের কোনও অভাব নেই।


প্রসঙ্গত, শান্তি আলোচনার পরও লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে একটি অস্থায়ী তাঁবু সরাতে অস্বীকার করে চিনা সেনা। তা নিয়ে হওয়া সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ভারতের ২০ জওয়ান। চিনের তরফেও আহত বা নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৭৪ জন। সেই থেকেই সুর চড়া করেছে ভারত। নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপরে নজর রাখতে একাধিক যুদ্ধ বিমান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম মজুত করেছে ভারত।


আরও পড়ুন-ক্যাবে এসি চালাতে বলায় যুবতী গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি উবেরচালকের, করলেন ভিডিয়োও!


এদিকে, লাদাখে এলএসি বরাবর উত্তেজনা নিয়ে এখনও  সুর নরম করছে না চিন। লাদাখের প্যাংগং এলাকায় ফিঙ্গার ফোর পর্যন্ত দখলে রয়েছে ভারতের। ফিঙ্গার আট থেকে ফিঙ্গার পাঁচ পর্যন্ত ক্রমশ এগিয়ে এসেছে সিনা সেনা। এটাই ভারত আপত্তি করে আসছে। সেনা পর্যায়ের শেষতম বৈঠকে চিন জানিয়েছে, ফিঙ্গার ৪ থেকে ভারত সরে এলে ফিঙ্গার পাঁচ থেকে তারাও সরে যাবে। পিএলএ-র ওই প্রস্তাব একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ভারতের দাবি, লাদাখে দুই দেশের সেনার অবস্থানের পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে হবে।