নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল এটাই।  চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করেছে কিনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৫ জুন গালওয়ানে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর সরকারকে এনিয়েই চেপে ধরেন রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীরা। বুধবার সংসদে সরকার সাফ জানিয়ে দিল, গত ৬ মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।


আরও পড়ুন- যে দেশ 'সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর', তাদের মুখে মানবাধিকার কথা! পাকিস্তানকে চপেটাঘাত দিল্লির


মঙ্গলবার লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তৈরি হয়েছে ভারত-চিন সমঝোতার ভিত্তিতে। সেই রেখা মানতে চাইছে না চিন। তাই এত অশান্তি।' এদিকে, গত কয়েক মাস ধরে কখনও চুশুলে, কখনও প্যাংগং লেকের দক্ষিণে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে লাল ফৌজ। তাহলে কি এলএসি পার করার চেষ্টা করেনি চিন? প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনিল আগরওয়াল।


অনিল আগরওয়ালের প্রশ্ন ছিল, গত ৬ মাসে পাকিস্তান ও চিন থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে? সরকার এক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, 'বেশিরভাগ অনুপ্রবেশের চেষ্টা পাকিস্তান থেকে হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্তে গত ৬ মাসে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি।'


গতকাল রাজনাথ সংসদে বলেছিলেন, এলএসিতে আমাদের সেনাদের সাহস অপরিসীম। সংসদেকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সেনা যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি। নিত্যানন্দ রাইয়ের জবাব সেই কথাকেই আরও মান্যতা দিল।


আরও পড়ুন-মানালি-লেহ সফরের সময় কমবে ৪ ঘণ্টা, তৈরি হয়ে গেল দুনিয়ার দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল


মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লাদাখের উত্তেজনা নিয়ে যা বলেছিলেন তা সবই হল চিনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কোথাও অনুপ্রবেশে ঘটেনি বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এদিন তিনি বলেন, মে মাসে চিনা সেনা একাধিকবার এলএসি পার করার চেষ্টা করেছিল। এর মধ্যে ছিল কোংকা, গর্গা ও প্যাংগং লেকের উত্তর অংশ। তবে ভারত তা প্রতিহত করেছে।


এদিকে, সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকারের নথিতে অবশ্য স্পষ্ট এলএসিতে চিনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে। অগাস্ট মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ৫ মে থেকে গালওান উপত্যকা সহ এলএসি বরাবর বিভিন্ন জায়গায় চিনা সেনার উপস্থিতি বাড়ছে। পাশাপাশি প্যাংগং লেকের উত্তরে ১৭-১৮ মে চিনা সেনা ঢুকেছিল।