ওয়েব ডেস্ক: জেএনইউ-র ঘটনার পিছনে উস্কানি রয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবার। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। অন্যদিকে,  ছাত্রদের সঙ্গে সন্ত্রাসযোগের অভিযোগ তুলে জেএনইউ-র তদন্তভার বিশেষ সেলের হাতে তুলে দিল দিল্লি পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেএনইউ-তে লস্কর যোগ! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু, কিসের ভিত্তিতে এমন দাবি রাজনাথ সিংয়ের?


এমাসের ১০ তারিখ ট্যুইট করেন লস্কর-এ-তৈবা প্রধান হাফিজ সৈয়দ। টুইটে জেএনইউ ক্যাম্পাসে আফজল গুরুর সমর্থনে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন সৈয়দ। তারপর তত্পর দিল্লি পুলিস। সৈয়দের টুইট সামনে আসতেই বিস্ফোরক রাজনাথ। কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে দিল্লি পুলিসও।


এদিন জেএনইউ-র তদন্তভার বিশেষ সেলের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পুলিসের যুক্তি,  ক্যাম্পাসে আফজল গুরুর সমর্থনে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্যই তদন্ত করুক বিশেষ সেল। বিরোধীদের যুক্তি রাজনৈতিক চাপেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও মানতে নারাজ দিল্লির পুলিস কমিশনার।


ক্যাম্পাসের ঘটনা নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে নেই দিল্লি সরকারও। সেদিন ক্যাম্পাসে ভারত বিরোধী স্লোগান কারা দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপিও।


শনিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাহুল গান্ধীও। অন্যদিকে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিয়ে মুখে খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। তাঁদের আর্জি, রাজনীতির স্বার্থে জেএনইউ- কে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া অনুচিত। সবমিলিয়ে এই মুহুর্তে জেএনইউ ঘিরে আবর্তিত জাতীয় রাজনীতি।