জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সলমান খানকে খুন করার সরাসরি হুমকি দিয়েছেন প্রখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ৩১ বছর বয়সী এই গ্যাংস্টারের জীবনের গল্প চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। তার নেটওয়ার্ক পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। আমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে বন্দি সে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল খুনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার নাম, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল গায়ক সিধু মুসেওয়ালা এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির হত্যা। হরিয়ানা পুলিসকর্মীর ছেলে কীভাবে হয়ে উঠল গ্যাংস্টার? প্রশ্ন অনেকেরই। আসলে কারণ কি স্বজনহারানোর কষ্ট নাকি অন্যকিছু? যা লরেন্সকে দিনে দিনে ঠেলে দিয়েছে অপরাধ জগতের দিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Salman Khan: বিগ বসের শ্যুটিঙে সলমান, সঙ্গে বন্দুকধারী ৬০ নিরাপত্তারক্ষী! সেটে ঢুকতে গেলেই...


জানা যায় যে ছোটবেলায় অপরাধ থেকে বহু দূরে থাকতেন লরেন্স। পুলিস কনস্টেবলের ছেলের কুখ্যাত গ্যাংস্টারে রূপান্তর হওয়ার গল্প বেশ চাঞ্চল্যকর। পঞ্জাবের ফিরোজপুরে জন্ম লরেন্স বিষ্ণোইর। তিনি সম্পন্ন পরিবারের সন্তান। বাবা ছিলেন হরিয়ানা পুলিশের কনস্টেবল। কয়েক কোটি টাকার জমি রয়েছে তাদের। আবোহার জেলার একটি কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করতেন লরেন্স। লরেন্স বিষ্ণোই ওরফে বলকারণ বারার স্কুলে পড়ার সময় প্রেমে পড়েছিলেন একটি মেয়ের। দু'জনেই চণ্ডীগড়ের ডিএভি কলেজে ভর্তি হন। সেখানেই প্রেম আরও গভীর হয়। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন লরেন্স। তিনি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অফ পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি (সপু)-র হয়ে ছাত্র নির্বাচনে লড়াই করেন তিনি। কিন্তু জিততে পারেনি সে। হার মেনে নিতে পারেনি লরেন্স। ২০১১ সালে কলেজে শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। 



শোনা যায় কলেজে ছাত্র নির্বাচনের পরবর্তী সময়ের সেই ঝামেলায় লরেন্সের বান্ধবীকে তার বিরোধীরা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল। সেই থেকেই পুরো বদলে যায় লরেন্স। ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় অন্ধকার জগতে। প্রেমিকার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার শপথও নিয়েছিল লরেন্স। নিজের গ্যাং তৈরি করে ফেলে সে। শেখে অস্ত্রের ব্যবহার। বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা তার হাতে বলিও হয়। রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্যাংয়ে লোক নিয়োগ করতে শুরু করে। তৈরি করে কুখ্যাত '০০৭' গ্যাং।


আরও পড়ুন- Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'! কালীপুজোর আগেই ভয়ংকর দুর্যোগের মুখে...


২০১৮ সালে একটি মামলায় লরেন্স গ্রেফতার হওয়ায় তাঁকে আদালতে নিয়ে আসা হলে কোর্টে দাঁড়িয়েই সে বলে 'সলমানকে যোধপুরেই মারা হবে। তারপর ও জানতে পারবে, আমাদের আসল পরিচল কী?' এরপর ২০২২ সালে প্রথম হুমকি চিঠি পান সলমানের বাবা সেলিম খান। আসলে ১৯৯৮ সাল থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিট তালিকায় রয়েছেন সলমান খান। ওই বছরই হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন সলমান খান। আর এই বিষ্ণোই গ্যাং কৃষ্ণসার হরিণকে মাতৃ রূপে পূজা করে। সেই সময় লরেন্সের বয়স ছিল ৫ বছর। কিন্তু তখন থেকেই সলমানকে খুন করার ইচ্ছে প্রকাশ করে লরেন্স। একাধিকবার হুমকির পর মুম্বই পুলিস নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সলমানের। 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)