নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিল্লি। অশান্তি রুখতে রাজধানীর সীমান্তে তিনটি বিক্ষোভস্থল ও লাগোয়া এলাকায় আপাতত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে এবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন আইনজীবীদের একাংশ। চিঠিতে সই করেছেন ১৪১ জন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিলে হিংসার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার তদন্তে কমিশন গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সিংঘু, গাজিপুর, টিকরি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চলছে কৃষকদের। যতদিন যাচ্ছে, জমায়েতও ততই বাড়ছে। এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজধানী বুকে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লির একাংশ। সেদিন বেশিরভাগ কৃষকই মিছিলের জন্য নির্দিষ্ট পথে এগোলেও, আন্দোলনকারীদের একটি দল পৌঁছে যায় লালকেল্লায়। সেখানে জাতীয় পতাকার পাশে অন্য একটি খুঁটিতে নিশান সাহেবের পতাকা টাঙিয়ে দেন তাঁরা। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় গোটা দেশ। লালকেল্লা কী আদৌও সুরক্ষিত? সেই প্রশ্নও ওঠে। লালকেল্লায় নিশান ওড়ানোর পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিসের। লালচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, বাদ যায়নি কিছুই। এমনকী, ট্রাক্টর উল্টে মারাও যান এক বিক্ষোভকারী। এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীদের একাংশ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে তদন্ত কমিশন গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন গ্রেটা থানবার্গের


প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারির হিংসার ঘটনায় 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকা তৈরি করেছে দিল্লি পুলিস। সেই তালিকায় পঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু-সহ ১২ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিনেতা দীপ সিধুর খোঁজ দিতে পারলে পুলিসের তরফে  ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে আর ৪ জনের নামে।