নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলা-ত্রিপুরায় গণতন্ত্র আক্রান্ত। এই অভিযোগ তুলে দিল্লির সংসদ মার্গে ধরনা দিল বামফ্রন্টের চার দল ও লিবারেশন। বাংলায় তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন সাম্প্রদায়িকতার প্রতিযোগিতা চলানোর অভিযোগে সরব হলেন কারাত-বিমান-ইয়েচুরিরা। জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপি-বিরোধিতার মুখ হয়ে উঠেছেন ঠিক তখনই তৃণমূল-বিজেপিকে একই বন্ধনীতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে দেখা গেল বামেদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলা এবং ত্রিপুরায় ক্ষমতা হারিয়েছে বামেরা। বিরোধী দল হিসাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এই দুই রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপি। এই অভিযোগে সংসদ চলাকালীন দিল্লিতে সরব বামেরা। কিন্তু, বামেদের হঠাত্ এমন পদক্ষেপ কেন?


মনে করা হচ্ছে, বিজেপি-বিরোধিতার পরিসরে তৃণমূল সামনের সারিতে উঠে আসায় চিন্তায় সিপিএম। রাজনৈতিক মহল বলছে, বাংলা-ত্রিপুরায় ক্ষমতা হারিয়ে সঙ্কটে থাকা বামেরা দিল্লিতে ধর্না দিয়ে দেখাতে চাইছে, জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-বিরোধিতায় তারা এখনও প্রাসঙ্গিক। আর সেজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপি-বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন তখন তৃণমূল-বিজেপিকে একই বন্ধনীতে নিয়ে আসতে চাইছে তারা।


গত মাসে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক ফ্রেমে চলে আসায় সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে। এদিন, তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে ধরনায় সেই বিজয়নকে হাজির করে তারা বার্তা দিতে চাইল, দলের অবস্থানে কোনও বদল হয়নি। উল্লেখ্য, এ দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যেও অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয় বামেরা। শিয়ালদহে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সূর্যকান্ত মিশ্র। আরও পড়ুন- গণপিটুনি ইস্যুতে কোণঠাসা সরকার, ধর্না-বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ