ওয়েব ডেস্ক: কেজরিওয়াল কি ঘুষ নিয়েছিলেন? ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে দুর্নীতি দমন শাখাকে রিপোর্ট জমা দিতে বললেন দিল্লির উপরাজ্যপাল। কেজরিওয়াল সহ আপের অন্যান্য নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত, উপরাজ্যপাল অনিল বাইজালের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ জানিয়ে আসেন বহিষ্কৃত মন্ত্রী কপিল মিশ্র। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দুর্নীতি দমন শাখাকে নির্দেশ উপরাজ্যপালের। গোটা দেশে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় মুখই কি দুর্নীতিগ্রস্ত? কেজরির বিরুদ্ধে কপিলের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় দেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শুধু বোমা ফাটিয়েই চুপ করে বসেননি কেজরিওয়ালের দীর্ঘদিনের সঙ্গী কপিল মিশ্র। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে সোজা চলে যান দুর্নীতি দমন শাখায়। আপ সরকারের জলট্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তথ্য ও নথিপ্রমাণ দিয়ে আসেন দুর্নীতি দমন শাখায়। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন কপিল।



২০১২ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে বেআইনিভাবে ৩৮৫টি স্টিলের ট্যাঙ্কার ভাড়া করার অভিযোগ ওঠে দিল্লি জল বোর্ডের বিরুদ্ধে। কপিলের অভিযোগ, এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী সহ আপের বর্তমান নেতা-মন্ত্রীদের অনেকেই। ফলে, প্রথম থেকেই জলট্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ প্রমাণে এদিন গোয়েন্দাদের কাছে লাই টেস্টের দাবিও জানান কপিল।



কপিলের অস্ত্রে শান দিচ্ছে কংগ্রেস-বিজেপি। কেজরিওয়ালের ইস্তফা থেকে শুরু করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার বিরোধীরা। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আপ নেতৃত্ব পাল্টা বিঁধেছে বিজেপিকে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই কপিল মিশ্র দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।



দুর্নীতি দমন শাখা ছাড়াও এদিন কপিল মিশ্র দেখা করেন উপরাজ্যপালের সঙ্গে। ৭ দিনের মধ্যে ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত করে দুর্নীতি দমন শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন অনিল বাইজাল। (আরও পড়ুন- সুদীপের জামিনের বিরোধিতাতেও সিবিআই-এর মুখে 'প্রভাবশালী তত্ত্ব')