বাল ঠাকরের পরিবারে পিতৃত্ব ও সম্পত্তি নিয়ে কাজিয়া
তিনি ছিলেন সাবেক বম্বের বেতাজ বাদশা। শুধু মুম্বাই নয়, মহারাষ্ট্রের একটা বড় অংশ জুড়ে দীর্ঘকাল তাঁর অনুমতি ছাড়া গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ত না বলে শোনা যায়। তিনি শিব সৈনিকদের প্রবাদ প্রতিম প্রধান বালাসাহেব, বাল ঠাকরে। আর এবার তাঁর সম্পত্তি নিয়েই তাঁর ছেলেদের মধ্যে কাজিয়া এবং তার মধ্যে `পিতৃত্ব অস্বীকার` জনিত যৌন কেলেঙ্কারির আভাস।
ওয়েব ডেস্ক: তিনি ছিলেন সাবেক বম্বের বেতাজ বাদশা। শুধু মুম্বাই নয়, মহারাষ্ট্রের একটা বড় অংশ জুড়ে দীর্ঘকাল তাঁর অনুমতি ছাড়া গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ত না বলে শোনা যায়। তিনি শিব সৈনিকদের প্রবাদ প্রতিম প্রধান বালাসাহেব, বাল ঠাকরে। আর এবার তাঁর সম্পত্তি নিয়েই তাঁর ছেলেদের মধ্যে কাজিয়া এবং তার মধ্যে 'পিতৃত্ব অস্বীকার' জনিত যৌন কেলেঙ্কারির আভাস।
২০১২ সালের নভেম্বরে বাল ঠাকরে মারা যান। তার অনেক আগে থেকে সেই ১৯৯৯ সাল থেকে বালাসাহেবের বাসভবন 'মাতশ্রী' থেকে বিতাড়িত হন বাল ঠাকরে পুত্র জয়দেব ঠাকরে। কারণ হিসাবে জানা যায় যে, জয়দেবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী স্মিতার দাম্পত্য কলহের জেরেই ছেলেকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেন পিতা বাল ঠাকরে এবং নাটকীয়ভাবে মাতশ্রীতেই থেকে যান বালা সাহেবের পুত্রবধূ তথা জয়দেব জায়া স্মিতা। ২০০৪ সাল নাগাদ জয়দেব ও স্মিতার আইনি বিচ্ছেদও ঘটে যায় বলে খবর। আর এর পরেই সেই 'পিতৃত্ব অস্বীকার'-এর ঘটনার অবতারণা-
সিধু বিজেপি ছাড়লেও তাঁর স্ত্রী রয়ে গেলেন বিজেপিতেই
গতকাল, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে আদালতে জয়দেব জানিয়েছেন যে ১৯৯৯ সালের পর মাতশ্রী ছেড়ে পাকাপাকি চলে যাওয়ার পরেও বহুবার, প্রায়শই তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। সেই সময় নাকি তিনি দেখতেন যে মাতশ্রীর দোতলার দরজা বন্ধ থাকত। কিছু অজানা লোকের যাতায়াতও ছিল। এই বিষয়ে নাকি জয়দেব তাঁর বাবার কাছে জানতে চান এবং বালাসাহেব নাকি তাঁকে বলেন যে ওখানে ঐশ্বর্য নামে একটি ছেলে থাকে। জয়দেব আরও বলেছেন যে, তিনি মাতশ্রীতে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও কখনই রাত্রে থাকতেন না সেখানে, তিনি তাঁর নিজের ফ্ল্যাটে চলে আসতেন। আর তাই ঐশ্বর্য-র পিতৃত্ব তিনি মানবেন না। যদিও স্মিতার বাকি দুই সন্তানের পিতৃত্ব তিনি মেনে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বালাসাহেবের মৃত্যুর পরেই জয়দেব আদালতে অভিযোগ করেন যে, তার ভাই অর্থাত্ বাল ঠাকরের আরেক ছেলে তথা বর্তমানে শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে একাই তাঁদের বাবার সব সম্পত্তি আত্মসাত্ করতে চাইছেন।
এই বিষয়ে আদালতে বাল ঠাকরের আইনজিবীরা জানিয়েছেন যে, ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বালাসাহেব মোট নয় বার তাঁর উইল বদলেছেন এবং তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমান ১৫ কোটি টাকা। উল্টো দিকে জয়দেবের দাবি শুধু মাতশ্রীর দামই ৪০ কোটি টাকা।
এইদিকে উদ্ভবের উকিলও জয়দেবকে কাল জেরা করেছে। তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, আদালত এই মামলার ঘুটিনাটি বিষয়গুলো সংবাদমাধ্যমে প্রাকাশ করতে বারণ করেছে।