Budget 2021: `বাজেটের আয়কর পরিকাঠামো অপরিবর্তিত, ছাড় প্রবীণদের`
Latest Updates
২.৫ শতাংশ এক্সপোর্ট ট্য়াক্স ধার্য মোবাইল ফোন, চার্জারের ওপরে।
আমদানি শুক্ল কমল স্টেনলেস স্টিলে (২০২২ পর্যন্ত)।
নাইলন ফাইবারের ওপর আমদানি শুক্ল কমানো হল।
রেকর্ড জিএসটি আদায় হয়েছে।
বস্ত্রশিল্প, চামড়ার দ্রব্যের ওপর আমদানি শুক্ল বদল হবে।
র সিল্কের ওপর আমদানি শুক্ল বাড়ল।
কৃষিক্ষেত্রের পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। কৃষকদের আয় বাড়বে।রেকর্ড জিএসটি সংগ্রহ। কর ফাঁকি আটকাতে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহার। নতুন ফ্ল্যাটে ২০২২ সালের ২১ পর্যন্ত গৃহঋণের সুদে ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের সস্তায় ঘরভাড়া। কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি পাবেন। একই সুবিধা মহিলাদেরও। রাতে কাজ করতে পারবেন মহিলারা। তবে নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা।
চলতি আর্থিক বছরে বাজার থেকে আরও ধার। ২০২১-২২ সালে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার। রাজকোষে রেকর্ড ৯.৫ শতাংশ ঘাটতি। Budget 2021 LIVE: '৭৫ হাজার কোটি টাকায় ৪৩.৬ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছে'
কোভিড পরিস্থিতিতে কমানো হয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স। ৭৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন নয়। সুদের উপরে পুরো ছাড় পাবেন।
এই বছরের প্রথমে অতিমারী শুরুর সময়ে রাজস্ব আদায় কমে, খরচ বাড়ে। বিশেষ করে গরীব মহিলা, ST, scদের জন্য খরচ। ছোটো খাটো প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এখন স্বাস্থ্য সংকট খানিকটা কমেছে। এখন আমরা চাহিদা বাড়াতে চাই। ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা আমাদের খরচ। Capital expendature বাড়িয়েছি। ৮০ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করবে সরকার। মূলধন খাতে খরচ হাড়ছে। ২১-২২ ফিসকাল ডেভিসিট ৬.৮ শতাংশ। ১২ লক্ষ কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করা হবে। কিছু অ্যাসেট বিক্রি করে রেভিনিউ পাব। মনে করছি কর আদায় বাড়বে। রাজ্যগুলিকে ৪ শতাংশ ধার করার অনুমতি দিচ্ছি। রাজ্যগুলির ফিসকাল ডেফিসিট নেমে আসবে ২ বছরে। ফুড কর্পোরেশনের লোনও এর আওতায় আনা হয়েছেল। কিন্তু সেটা বন্ধ হচ্ছে। একস্ট্রা বাজেটের বিস্তারিত অনলাইনে।
মানব সম্পদ তৈরি
১৫ হাজার স্কুলকে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে শক্তিশালী করছি।
উচ্চশিক্ষার জন্য একটা হায়ার এডুকেশন কমিশন তৈরি হবে। এদের আওতায় ইউনিভার্সিটি, কলেজ সবই থাকবে। কেন্দ্রের আওতায় যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আছে তারাও এই আওতায় আসবে।
লাদাখে উচ্চশিক্ষার জন্য বরাদ্দ হবে। ট্রাইবাল এরিয়াতে ৫৭টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপিত হবে। সিডিউলকাস্ট পড়ুয়াদের জন্য টাকা বরাদ্দ হবে। এর ফলে ৪ কোটি পড়ুয়া উপকৃত হবে।
জাপানি ভোকেশনাল ট্রেনিং মিলবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও চুক্তি হবে।
৫ হাজার কোটি টাকা ডিজিটাল লেনদেন উন্নত করতে।
ইন্টারনেটে ভারতীয় ভাষায় তথ্য পাওয়া যায়।
৪ ভারতীয় অ্যাস্ট্রোনটকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।
আমরা ৪ হাজার কোটি এই খাতে বরাদ্দ হচ্ছে, আগামী ৫ বছরের জন্য। এই টাকা গভীর সমুদ্রের সম্পদ উদঘাটনে ব্যবহার হবে।পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একদেশ এক রেশনকার্ড প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। দূরে থাকা শ্রমিকরাও এটা দেখিয়ে রেশন পাবেন। ৩২টি রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। এবং যে ৪টি রাজ্য বাকি থাকছে পরে তারাও আওতায় আসবে। মেয়েরা সমস্ত ক্যাটারিতে কাজ করতে পারবে। তারজন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
আমরা পিএফএ ব্যবস্থার প্রসার ঘটাচ্ছি। কেন্দ্রীয় স্পনসর প্রকল্প বাড়াচ্ছি।
যাঁরা পিছিয়ে যেমন কৃষক, পরিযায়ী শ্রমিকদের এগিয়ে নিয়ে আসা।
MSP-কে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হবে।৭৫ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এবং ৪৩.৬ লক্ষ কৃষক এর ফলে উপকৃত হয়েছেন। চালের জন্য ধানের জন্য ২০-২১ এ ১ লক্ষ ১২ কোটি টাকার এবং তারও বেশি টাকা কৃষকরা পাবে।
কৃষকদের ধার দেওযার জন্য ১৫.৫ লক্ষ কোটি টাকার ধার দেওয়া হচ্ছে। এটার মধ্যে মৎস চাষীরাও রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ল। আরও ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িনোর কথা হচ্ছে।
ই ন্যামের ফলে ১ কোটিরও বেশি কৃষক উপকৃত হচ্ছে।
কৃষিক্ষেত্র বরাদ্দ বাড়ানো হল।
আধুনিক মৎস চাষের জন্য উপযুক্ত যে বন্দর দরকরা তার জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছি।* পণ্য় পরিবহন চালু ছিল অতিমারীতেও।
* ২০২১-২০২২ সালে আমরা lic-র সেয়ার বাজারে বিক্রি করা হবে। এরফেলে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক এগিয়ে যাবে।
* আমরা ৪টি ক্ষেত্রে ডিসইনভেস্ট করব। এবং এই পলিসি এগিয়ে নিয়ে যেতে নীতিআয়োগকে অনুরোধ করছি।
* আমরা রাজ্যগুলিকে বলছি যেই বিপুল পরিমাণ জমি পড়ে তাকে বিক্রি করে যে টাকা মিলবে তা বিনিয়োগ করা যাবে। যেসব সরকারি সংস্থা লাভ করতে পারবে না তাদের বিক্রি করতে হবে।
* ১লক্ষ ৯৫ কোটি টাকা ডিসইনভেস্টমেন্ট থেকে পাওয়া যাবে।* ১ হাজার কোটি টাকা সোলার এনার্জি খাতে বরাদ্দ।
* ইনসিওরেন্স অ্যাক্ট পাল্টে ৫৯ শতাংশের বদলে ৭৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হল।
* অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশনের জন্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি তৈরি হবে। যাতে অ্যাসেট বিক্রি করে উপযুক্ত দাম পায়।
* ব্যাঙ্কের ডিপোডিট ইন্সিওরেন্স গতবার ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ করা হয়েছিল।
* যে ব্যাঙ্কগুলি এখন সমস্যায় রয়েছে। তাঁদের ডিপোজিটারটা যাতে তাঁদের টাকা পায় তার ব্যবস্থা করা হল।রাস্তা পরিকাঠামো
১৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। এর জন্য ৫.৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ। আরও ৮৫০০ কিমি রাস্তা তৈরি করা হবে। ৩হাজার ৫০০ কিমি হাইওয়ে তৈরি হবে তামিলনাড়ুতে। এর মধ্যে মাদুরাই কোল্লাম করিডোর আছে।
মুম্বই, কন্যা-কুমারি যাত্রার রাস্তা তৈরি হবে।
৬৭৫ কিলোমিটার হাইওয়ে পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা শিলিগুড়ির রাস্তা মেরামতিও আছে।
অসমে ১৯ হাজার কিমি রাস্তা মেরামত হচ্ছে।
১০০০কিমির বেশি জাতীয় হাইওয়ে এর মধ্যে রয়েছে।
১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ সবমিলিয়ে।জাতীয় রেল প্ল্যান তৈরি হয়েছে।
এরমধ্যে মেকইন ইন্ডিয়া প্রকল্প তৈরি।
গোমড় থেকে ডানকুনি ২৭৪ কিমি রেলওয়ে লাইন তৈরি হবে। ভবিষ্যতে খড়্গপুর থেকে স্ট্রেট করিডোড় তৈরি হবে। ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ হবে রেলওয়েতে। কোচগুলি আধুনিকিকরণ। নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থা। ১ লক্ষ কোটির বেশি টাকা মূলধনখাতে ব্যায়।* আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বেড়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের দিকে তাকাব। \
এক চিকিৎসা, ৫৪ হাজার কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ হল। আগামী ৬ বছরে ব্যবহার হবে। এই টাকায় জাতীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা হবে। এর ফলে ১৭ হাজার গ্রামে এবং শহরে বেশ কিছু স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে পুনরুদ্ধার করা হবে। ৬০২টি জেলা উপকৃত হবে। নতুন ১৭টি পাবলিক হেলথ ইউনিট তাঁদের কাজ শুরু করবে। এবং ১৫টি ইমার্জেন্সি ইউনিট তৈরি হবে।
দুই পুষ্টি, আমাদের পুষ্টি জোগানোর যেই প্রকল্প রয়েছে সেগুলো একত্রে করে তা ১১২টি জেলায় ছড়িয়ে দেব। WHO বারবার পরিস্কার জল এবং আবহাওয়ার কথা বলেছে। আমরা সেদিকে নজর দেব। ২.৮৬ কোটি মানুষ কলের জল পাবে। এটার জন্য ২. ৮৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হল। এর জন্য নানা ব্যবস্থা করা হবে। প্লাস্টিক এবং দূষিত বস্তুর এপর নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। স্বচ্ছ ভারতে আমরা বরাদ্দ করছি ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ২ হাজার কোটির টাকার বেশি বরাদ্দ হচ্ছে পরিবেশের জন্য। একই সঙ্গে পুরনো যান সেগুলি যাতে দূষণ না বাড়ায় তারজন্য তাদের তাড়াতাড়ি বাতিল ঘোষণা করা হবে। ২০ বছর পরের ব্যক্তিগত যান বাতিল হবে।
তিন টিকা, এই মুহূর্তে টিকা পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পেতে শুরু করেছে। ৩৫ হাজার কোটি টাকা টিকার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যখাতে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হল। ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে স্বাস্থ্যখাতে।
* কৃষি আইনের প্রতিবাদে সংসদে দুজনের কালো পোশাক।
* এই বাজেট অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকেকে হারিয়েছেন।
* অনেকেরই আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল।
* অনেকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
* বহু মানুষ বাড়িতে বসে ছিল।
* রেলওয়ের মতো যাঁরা কাজ করেছেন আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
* সর্বসাধারণের হিতার্থে সাংসদরা একদিনের আয় দিয়েছেন।
* প্রধানমন্ত্রী সবথেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করেছেন।
* করোনার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
* মৃত্যুহার প্রতিমিলিয়ন জনসংখ্যায় সাড়া পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম কম।
* এখনও অবধি মাত্র তিনবার অর্থনীতির সংকোচন কালে তৈরি। এটাও অন্যতম।অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সোমবার বলেন, 'এই বাজেট হবে মানুষের প্রত্যাশা মতো। মোদী সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মন্ত্রে নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আত্মনির্ভর প্যাকেজও ঘোষণা করা হয়েছে। অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে এই বাজেট ভারতকে নতুন দিশা দেখাবে'।
রাষ্ট্রপতি ভবন হয়ে পার্লামেন্টে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পৌঁছেছেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
গত ১০০ বছরে এমন বাজেট প্রত্যক্ষ করেনি দেশ। অতিমারীর আবহ কাটিয়ে দেশে ও সাধরাণের পকেটের সামঞ্জস্য রক্ষাই এবছরের বাজেটে বিরাট চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতিবিদ রাজেশ ভট্টাচার্যের মতে, 'এবারের বাজেটে এমন কিছু করতে হবে যাতে পয়সা আসে সাধারণ মানুষের হাতে, যাতে তাঁরা খরচ করতে পারেন। সেই জায়গাটা দেখতে হবে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো ও কর্মসংস্থান তৈরি করার বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত'।