প্রকৃতির তাণ্ডব, উদ্ধার ৯ জনের মৃতদেহ, নিখোঁজ ১৫০র বেশি
Latest Updates
৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ঋধিমা আগরওয়াল ডিআইজি, উত্তরাখণ্ড পুলিস ZEE 24 Ghantaকে জানিয়েছেন, উদ্ধার করা হয়েছে ২ জনকে। এখনও নিখোঁজ বহুজন। প্রকৃতির খেলা তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক কখন হবে তা নিয়ে বলা মুশকিল। তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ধীরে ধীরে গতি কমবে স্রোতের। ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমতে থাকবে।
ঘটনার সূত্রপাত ঠিক কখন?
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১০ টা ৫৫ মিনিটে জোশীমঠে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ার খবর আসে এলাকায়। খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে পুলিস পৌঁছয়। রাতেই জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সকালে সেই ধস আরও ভয়াবহ আকার নেয়। হিমবাহ ভেঙে পড়ার পর প্রবল তোড়ে জল নেমে আসতে শুরু করেছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল বৃষ্টিপাত সঙ্গে তুষারপাত। তার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ধসের জন্য ধৌলিগঙ্গার বাঁধে ভাঙন ধরেছে। জানা গিয়েছে চামোলি হিমবাহে ফাটলের কারণে এই ধস। জোশীমঠের কাছে গ্রামের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। ধুলিগঙ্গার পাশের গ্রাম খালি করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজে ITBP ,NDRF, SDRF।
রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, 'চামোলিতে হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্যার সম্ভাবনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমার সমবেদনা উত্তরাখণ্ডের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিত সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তকে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান করা। কংগ্রেসের সহকর্মীরাও ত্রাণের কাজে হাত দিয়েছেন'।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানান , 'উত্তরাখণ্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি অবিরত পর্যবেক্ষণ করছি। গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে। সকলের নিরাপত্তার জন্য পার্থনা করছি'।
ইতিমধ্যেই ১০০ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পে ঘটনার সময় ১৫০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা নিখোঁজ।সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, এঁদের অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রকৃতির রোষে দেবভূমিতে প্রলয়, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্রা সিং রাওয়াতের সঙ্গে কথা বললেন অমিত শাহ।