জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: ফের স্কুলের মিড ডে মিলল টিকটিকি। তড়িঘড়ি ৩০ পড়ুয়াকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে, মুম্বইয়ের ধারাভিতে অবস্থিত কমরাজ মেমোরিয়াল ইংলিশ হাই অ্যান্ড জুনিয়র কলেজে। জানা গিয়েছে, সেখানে লাঞ্চ টাইমে এক পড়ুয়ার প্লেট থেকে টিকটিকি পাওয়া গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাহু নগর পুলিস জানায়, লাঞ্চ স্কুলের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। জেপি হোটেল নামে একটি পার্শ্ববর্তী স্থানীয় হোটেল সেদিন পড়ুয়াদের জন্য় লাঞ্চ পাঠিয়েছে।
পুলিস কর্মকর্তা বলেন, 'যেসব পড়ুয়ার অভিভাবকরা লাঞ্চ এবং ব্রেকফাস্ট দিতে পারে না। তারা এই জেপি হোটেলের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা ওইসব পড়ুয়াদের লাঞ্চ সরবরাহ করবে। এতে বেশিরভাগ দিনই ইডলি, সম্বার এবং অন্যান্য দক্ষিণ-ভারতীয় খাবার ছিল।'


আরও পড়ুন: Kota Kidnapping: বাড়িতে এল মুক্তিপণের দাবি! বিদেশ যাওয়ার টাকা তুলতে নিজেকে অপহরণের ছক তরুণীর


ঘটনাটি ঘটে বুধবার। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের প্রতিদিনের মত খাবার দেওয়া হয়। তখনই একজনের সম্বারে টিকটিকি ভাসতে দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। সেই পড়ুয়া তাঁর গলার ভিতর আঙুল ঢুকিয়ে বমি করার চেষ্টা করতে থাকে। তার দেখাদেখি বাকি পড়ুয়ারাও অনুকরণ করা শুরু করে। 


শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ ক্লাস ৫ এবং ৬-এ পড়াশোনা করছে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসারে, শিশুদের খাদ্যে বিষক্রিয়া পরীক্ষা করার জন্য আয়ুশ নামে একটি নিকটবর্তী ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 
এক পুলিস কর্মকর্তা আরও জানান, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে কোনও শিশুর খাবারে বিষক্রিয়া ঘটেনি। তাই তাঁদের সবাইকে অভিভাবকদের সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।'


আরও পড়ুন: Viksit Bharat | ECI: নির্বাচনের মুখেই চাপে কেন্দ্রীয় সরকার, কমিশনের নির্দেশে বন্ধ 'Viksit Bharat' মেসেজ


ডিসিপি তেজস্বী সাতপুতে বলেন, 'খাবারের নমুনাগুলি এফডিএ পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছে। আমরা এখন রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট এলে আমরা মামলা এগোবো। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিভাবক আমাদের কাছে আসেননি। বা আমাদের কাছে কোনও মামলা নথিভুক্ত করেননি।'
সিনিয়র এফডিএ কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা নমুনা সংগ্রহ করেছেন যা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।


এর আগে এইরকমই এক ঘটনা ঘটে ওড়িশায়। ওড়িশার ভদ্রক জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের খাবারে পাওয়া গিয়েছিল মরা টিকটিকি। সেই খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে রড়ে ১০ জনরেও বেশি পড়ুয়া। জানা গিয়েছিল, মিড-ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরই বমি ও অস্বস্তি অনুভব করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ খাবারের মধ্যে থেকে মৃত টিকটিকি-কে দেখতে পায়। তারা খাবার পরিষেবা বন্ধ করার অনুরোধ জানায়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)