নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও দিশা নির্দেশ নেই। লকডাউন বাড়াতে হবে বলে ঘোষণা করেই খালাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ যেন ডেনমার্কের প্রিন্স ছাড়া এক হ্যামলেট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে তাঁকে বিঁধলেন অভিষেক মনু সিঙ্ভি এবং পি চিদম্বরম। সিঙ্ভি বলেন, ‘এই সময়ে সরকারের পাশে থাকতে চাই। কিন্তু সবকিছু সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে থেকে কোনও লাভ হবে না। গরিব, মধ্যবিত্ত, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সাহায্য চাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভাষণে কোনও গাইডলাইন নেই। উনি যেন ডেনমার্কের প্রিন্স ছাড়া হ্যামলেট। মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়ানো হোক, ক্ষেত্র চিহ্নিত করে বরাদ্দ করা হোক। এর কোনও কথা ভাষণে নেই।’


আরও পড়ুন- আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন, ফেরত দেওয়া হবে রিজার্ভেশনের টাকা


অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে ছাড়েননি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। তিনি টুইট করেন, দেশের মুখ্যমন্ত্রীরা করোনা মোকাবিলায় টাকা চেয়েছিলেন। ২৫ মার্চের প্যাকেজে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। রঘুরাম রাজন থেকে জাঁ দ্রেজ, প্রভাত পট্টনায়ক থেকে অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে কানই দেওয়া হয়নি। গত ২১ দিন ও আগামী ১৯ দিন গরিব মানুষকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হল। টাকা রয়েছে, খাদ্যসামগ্রী রয়েছে, কিন্তু সরকার তা দেবে না। ক্রাই, মাই বিলাভড কান্ট্রি।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ একসঙ্গে চেটে-পুটে খাচ্ছে মানুষ-কুকুর, শিহরিত করল নেটিজেনদের


মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৩৬৩। মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। গোটা দেশে দিন আনি দিন খাই মানুষের কাজ বন্ধ, ছোট ব্যবসা বন্ধ। করোনা সংক্রমণ বন্ধ হলেও অর্থনীতির ওপরে এই ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাবে ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের একটি হিসেব অনুযায়ী এই আর্থিক বছরের শেষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ১.৫-২.৮ শতাংশে আটকে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর ভাষণে জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি জেলা, প্রতিটি রাজ্যকে দেখতে হবে লকডাউন ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কিনা। তার পরে লকডাউন শিথিল করার চিন্তাভাবনা করা হবে। ফলে জনজীবন অন্তত আংশিক স্বাভাবিক হতে আরও অপেক্ষা করতে হব সাধারণ মানুষকে।