রণে ভঙ্গ দিলেন রাবণ, বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন না ভীম আর্মির প্রধান
গতবার বারাণসী ও ভাদোদরা থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন না ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণ। রণে ভঙ্গ দিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, দলিত ভোট একত্রিত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। সপা-বসপা জোটকে সমর্থন করবে তাঁর সংগঠন।
মোদীকে দলিতবিরোধী তকমা দিয়ে বারাণসীতে তাঁকে সবক শেখানোর চ্যালেঞ্জ করেছিলেন চন্দ্রশেখর। দাবি করেছিলেন, বারাণসী কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে মোদীকে কুপোকাত করবেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চন্দ্রশেখর আজাদ জানিয়েছেন, বারাণসীতে সতীশচন্দ্র মিশ্রাকে প্রার্থী করা হলে সপা-বসপা জোটকে সমর্থন দেবেন। বলে রাখি, সতীশচন্দ্র মিশ্র বসপার সাধারণ সম্পাদক, তথা দলের ব্রাহ্মণ মুখ। এর আগে সতীশের বিরুদ্ধে মায়াবতীকে বিভ্রান্ত করা ও দলিত সংগঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন চন্দ্রশেখর।সমর্থকদের কাছে রাবণ নামেও পরিচিত দলিত নেতা।
দলিত ভোটে নজর
চন্দ্রশেখরের কথায়,''বারাণসীতে ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার সিদ্ধান্তে বিজেপি কোনওভাবে লাভবান হোক, তা চাইনি। আমরা বিজেপিকে হারাতে চাই''।
বিজেপির এজেন্ট চন্দ্রশেখর
অতিসম্প্রতি মায়াবতী অভিযোগ করেছিলেন, চন্দ্রশেখর আজাদ বিজেপির এজেন্ট। দলিত ভোট বাটোয়ারার জন্য তাঁকে মাঠে নামিয়েছে বিজেপি। এনিয়ে মুখ খুলেছেন চন্দ্রশেখর। তাঁর অনুযোগ, ''আপনজনরাই আমাকে বিজেপির এজেন্ট বলে দিচ্ছেন। কিন্তু আমি চাই, উনি প্রধানমন্ত্রী হোন। ওনাকে প্রশ্ন করতে থাকি, সে কারণে আমি বিজেপি এজেন্ট। আমি ভীম রাও আম্বেদকরের এজেন্ট। নিজেদের লোকেরাই রাস্তা আটকালে ক্ষমতায় আসার পর দেখিয়ে দেব''।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গে কেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করছেন না? মুখ খুললেন মোদী
মোদীর কেন্দ্র বারাণসী
গতবার বারাণসী ও ভাদোদরা থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুটি কেন্দ্রেই জেতার পর ভাদোদরা আসনটি ছেড়ে দেন নমো। এবার শুধুমাত্র বারাণসী থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এখনও বারাণসীতে প্রচারে আসেননি মোদী। তাঁর কেন্দ্রে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেস প্রার্থী করতে পারে বলে জল্পনা। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। গতবার প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারার পর আর বারাণসীমুখো হননি দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ১৯৯১ সালের পর সর্বনিম্নে ঠেকল খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি