পশ্চিমবঙ্গে কেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করছেন না? মুখ খুললেন মোদী

Apr 17, 2019, 19:33 PM IST
1/9

নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট বেঁধেছে। তার জেরে বিজেপির আসন সংখ্যা কমতে পারে বলে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাতে মিলেছে তার ইঙ্গিত। সেই ঘাটতি কি পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে পুষিয়ে নেবে বিজেপি? দূরদর্শনে নিজের সাক্ষাত্কারে এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর জবাব, উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল হবে। বাংলাতেও এবার বিজেপি চমকে দেবে।

2/9

প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, বাংলায় বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছে বলেই হামলার মুখে পড়ছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। আর উত্তরপ্রদেশে দলের ফল গতবারের চেয়েও ভাল হবে।    

3/9

নরেন্দ্র মোদী বলেন, ''বুক ঠুকে বলছি, উত্তরপ্রদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ওই রাজ্যে মানুষ রাজনীতি ও দেশের নীতি ভাল করে বোঝেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছে বলেই তো আটকানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। 

4/9

নিজের সাম্প্রতিক সভার কথা স্মরণ করিয়ে মোদী বলেন,''আমিও পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে দেখে এসেছি। কংগ্রেস এবং বামেদের নিয়ে চিন্তা নেই মমতার। ৩৪ বছর রাজত্ব করেছিল বামেরা। সেখানকার মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে আপন করে নিয়েছেন''। 

5/9

পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ''নিজের লোকেদের সঙ্গে মমতা যা করেছেন, তা আরও ভয়ঙ্কর। জম্মু-কাশ্মীরেও পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। হাজার প্রার্থী জিতে এসেছেন। একটাও পোলিং বুথে হিংসার ঘটনা ঘটেনি। অথচ পশ্চিমবঙ্গে একটাও গ্রাম এমন ছিল না, যেখানে অশান্তি হয়নি। বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। জেলা, পঞ্চায়েতের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। অথচ নিজের লোকেদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে মমতার সরকার।

6/9

এত হিংসার পরও খবর সম্প্রচার করা হয়নি বলেও অনুযোগ করেছেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের হিংসা যতটা প্রচার করা উচিত, তা করা হয়নি। এতে শাসক দলের সাহস বেড়ে গিয়েছে। এজন্য মজা লাগছে ওদের। আনন্দ করছে। কারণ, ওরা জানে কেউ কিছু করতে পারবে না।

7/9

তাহলে ৩৫৬ ধারা জারি করছেন না কেন? প্রধানমন্ত্রীর জবাব, পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। কেরলেও হত্যা করা হয়েছে আরএসএস কর্মীদের। আমরা ৩৫৬ ধারার পক্ষে নই। জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠনের জন্য শেষমুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। ৩৫৬ ধারা শেষ বিকল্প হওয়া উচিত বলে মনে করি। 

8/9

মোদীর বিরুদ্ধে সরকারি এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগানোর অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীর কথায়,''এমন কোনও প্রমাণ নেই। ইউপিএ-র সময় থেকে মামলার তদন্ত চলছে। আদালতই নির্দেশে দিয়েছে। ধরুন, রেলের কামরায় বিনা টিকিটে ধরা পড়ে গিয়েছেন চারজন। নির্বাচন এসে গিয়েছে বলে কি তাঁদের ধরা যাবে না? 

9/9

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,'' দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। সব ধরনের সরকারি এজেন্সি আমায় বিব্রত করেছে। ৮-৮ ঘণ্টা জেরা করেছিলেন সাধারণ পুলিস কর্মীরা''।