নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি সরকারে আসছে না। আঞ্চলিক দলগুলি জোট বেঁধে স্থায়ী সরকার গঠন করতে চলেছে বলে জি ২৪ ঘণ্টায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন, মোদী-শাহ সরে গেলেও বিজেপি সমর্থন নৈব নৈব চ।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা দাবি করলেন, বিজেপি কোনওভাবেই সরকারে আসছে। উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে সপা-বসপা জোটের সামনে ধরাশায়ী হচ্ছে তারা। রাজস্থান, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস ভাল ফল করবে। বিজেপি বৃহত্তম দল হলেও খুব বেশি হলে ১৩০টি আসন পাবে। কংগ্রেস ১০০-র কাছাকাছিই থাকবে। বিজেপি বৃহত্তম দল হলে কি সমর্থন দেবেন? তৃণমূল নেত্রীকে প্রশ্ন করে জি ২৪ ঘণ্টার সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সপাটে জবাব, ''কখনই নয়''। 


সংখ্যা জোগাড়ে মোদীকে সরিয়ে নিতিন গডকড়ীকে বিজেপি সামনে আনতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমে জল্পনা। তো নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ সরে গেলে কি সমর্থন দেবেন মমতা? তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ''শুনুন একটা কথা বলি, যে ব্যবহার ও অনাচার করেছে, তারপর আর সমঝোতা নয়। সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে রাজ্যে। সব প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে উত্যক্ত করেছে। মাথা নিচু করে থাকতে পারব না। মাথা উঁচু করে চলা আমাদের চরিত্র। কোনও সমঝোতা করব না, এটাই আমার সিদ্ধান্ত''। কিন্তু আপনি তো এনডিএ জোটে ছিলেন? মমতার জবাব, রাজনাথের চরিত্র দেখেননি! হিজ মাস্টার্স ভয়েজ হয়ে উঠেছেন। নইলে বলে ৪২-এ ৪২ করব। পাগল না হলে বলতে পারে। 


মমতা আরও বলেন, ''আমি একশো কারণ মানুষ আমার সাথে আছে। সুপার এর্মাজেন্সি চলছে। ফ্যাসিজিম চলছে। হিটলারের চেয়েও হিটলার উনি। দেশের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ মোদী। উনি পাঁচবছরের প্রধানমন্ত্রী। নিজের কাজের কথা না তুলে ধরে অন্যদের গালাগাল দিচ্ছেন। দেশের জন্য কিচ্ছু করতে পারেননি। ১৫ লক্ষ টাকা দেননি। ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা হয়েছে এলপিজি। অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছেন। উনি পাঁচবছরে কী করেছেন তার জবাব দিতে হবে। সাড়ে চার বছর বিদেশে ফূর্তি করে বেড়িয়েছেন''। 


আরও পড়ুন- রাজ্যে মেরুকরণের জন্য দায়ী সিপিএম, জি ২৪ ঘণ্টায় একান্ত সাক্ষাত্কারে মমতা