নিজস্ব প্রতিবেদন: বুথ ফেরত সমীক্ষায় মোদী সরকারের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মেলার পর ইভিএম কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। ফলপ্রকাশের আগের দিন কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে টুইটারে বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি। বললেন,''আগামী ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকতে হবে''।           


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস কর্মীদের টুইটারে রাহুলের বার্তা,''আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সতর্ক ও সজাগ থাকুন। ভয় পাবেন না। আপনারা সত্যের জন্য লড়ছেন। ভুয়ো বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে নিরাশ হবেন না।  কংগ্রেস পার্টি ও নিজের উপরে ভরসা রাখুন। আপনাদের পরিশ্রম পণ্ড হবে না''।     



প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষাই আভাস দিয়েছে, তিনশোর বেশি আসন পেয়ে প্রত্যাবর্তন করছে এনডিএ। সেই দিনই টুইটারে ইভিএম গরমিলের আশঙ্কাপ্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল টুইট করেছিলেন, ইলেকট্রোরাল বন্ড থেকে ইভিএম কারচুপি, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট, নমো টিভি, মোদী সেনা এবং কেদারনাথের নাটক- মোদী ও তাঁর দলবলের সামনে আত্মসমর্পন করেছে নির্বাচন কমিশন। আগে কমিশনকে ভয় ও সম্মান করত লোকে। সেটা এখন আর নেই। 



রাহুলের টুইটের আগে ইভিএম নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এক্সিট পোল একটা গুজব। বিশ্বাস করি না। কয়েক হাজার ইভিএম সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিরোধীদের একজোট হওয়ার আবেদনও করেন মমতা।



বঙ্গ বিজেপি পাল্টা জবাব দেয়, ''বাস্তবকে অস্বীকার করা ছাড়ুন দিদি। পরাজয়ের আগে ছেঁদো যুক্তি সাজিয়ে এক্সিট পোলের আভাসকেই মান্যতা দিচ্ছেন আপনি। আপনার দিন ফুরিয়ে এসেছে। সোনার বাংলা গড়তে পারে শুধুমাত্র বিজেপি। তৃণমূলের হারে পশ্চিমবঙ্গের নতুন যাত্রা নিশ্চিত হবে''।           



তবে মমতা ইতিমধ্যেই দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, ভোটগণনা কেন্দ্রের বাইরে পাহারা দিতে হবে। নেত্রীর নির্দেশে জেলায় জেলায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে দিবারাত্র পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এদিন রাহুল গান্ধীও কার্যত সেই নির্দেশই দিলেন। এক বিজেপি নেতার সরস কটাক্ষ, এটাই মোদীর মহিমা। বিরোধী নেতানেত্রীদেরও চৌকিদার বানিয়ে ছাড়লেন। 


আরও পড়ুন- হিন্দুত্বের ঠেলা? শ্মশানের পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার