টেনশন থাকলেও বহিঃপ্রকাশ করা যায় না, বললেন প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নায়ক হুডা
ফোনে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন হুডা।
কমলিকা সেনগুপ্ত
ভারতবাসী তখন ঘুমের দেশে। ২১ মিনিটের অভিযানে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে জইশের জঙ্গিঘাঁটি। আগের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নেতৃত্বে ছিলেন লেফট্যানান্ট জেনারেল দীপেন্দ্র সিং হুডা। এটা কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২.০ বলা যেতে পারে? ফোনে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে হুডার প্রতিক্রিয়া, নিশ্চিতভাবে এটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলতে পারি। নিখুঁত অভিযান সেরেছে বায়ুসেনা। গোটাটাই পরিকল্পিত অভিযান।
ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর নিরাপত্তার কমিটির বৈঠকে সদস্যদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন ইমরান। বৈঠকের পর তিনি বলেন, ''ভারতের আগ্রাসনের জবাব নির্দিষ্টি স্থান ও সময়ে দেবে পাকিস্তান''। পাকিস্তানের জবাব কি প্রতিহত করতে পারবে ভারত? প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নায়কের কথায়, ''কী করবে, সেটা ওরাই জানে। তবে কোনও ধরনের পদক্ষেপ করলে পাকিস্তানের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে। ভারতের তিন বাহিনীর শক্তিই ওদের চেয়ে বেশি''।
বায়ুসেনার এমন নিঁখুত অভিযানে আপ্লুত হুডা। তাঁর কথায়, ''দারুণ পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে সেনা। স্যালুট করছি''। কীভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করা হয়? হুডা বলেন,''সদর দফতরে অনেকে মিলে কৌশল রচনা করেন। তবে এটা পুলওয়ামার ঘটনার পর করা হয়নি। আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়''।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। এতে কি ভারত সমস্যা পড়বে? হুডার স্পষ্ট করলেন, এটা পাকিস্তানের সেনার উপরে হামলা নয়। সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করার অভিযান। সেটা তো জানিয়েই দিয়েছেন বিদেশ সচিব।
এমন অভিযানের আগে কি টেনশন হয়? প্রাণ সংশয় থাকে। গোটা দায়িত্ব আপনার কাঁধে। নিরাপদে ফেরাতেও হবে। ফলে টেনশন থাকে। কিন্তু বহিঃপ্রকাশ করলে বাহিনীর মনোবল পড়তে পারে, বললেন হুডা। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, একেবারেই সঠিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। নিরীহদের প্রাণ বাঁচাতেই জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।