করুণানিধির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক, হাসপাতালের বাইরে ভিড় অনুগামীদের
: তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে-র সভাপতি করুণানিধির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে-র সভাপতি করুণানিধির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। শনিবার তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিল কাবেরী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে রবিবার তারা জানাল, করুণানিধির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে এদিন সন্ধেয় তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কাবেরী হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'ডিএমকে সভাপতি ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা হঠাত্ অবনতি হতে শুরু করে। যন্ত্রপাতির সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের একটি তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের উপরে নজর রাখছেন'।
করুণানিধির শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগে পড়েন অনুগামীরা। তাঁরা ছুটে যান হাসপাতালে। তামিলনাড়ুজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবীণ এই নেতার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা।কাবেরী হাসপাতালের বাইরে জমে যায়। সমর্থকদের আশ্বস্ত করে ডিএমকে নেতা এ রাজা বার্তা দেন, গুজবে কান দেবেন না। করুণানিধি সুস্থ আছেন।
দলের নেতাকর্মীদের হাসপাতাল চত্বর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র করুণানিধির নিকট আত্মীয়রাই থাকার অনুমতি পেয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে চেন্নাই থেকে সালেমে ছুটে যান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পি পালানিস্বামী।তাঁর কথায়, ''উনি পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক। তাঁর চিকিত্সায় সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার''।
গত কয়েক মাস ধরে শরীর ঠিক নেই করুণানিধির।হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে। এবার গত ১৮ জুলাই কাবেরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে কৃত্রিম নালি বসানো হয়েছে শরীরে। এই অস্ত্রোপচারটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরেই করা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গলায় ও ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।
শনিবার করুণানিধিকে দেখতে যান রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, করুণানিধির ছেলে এমকে স্টালিন ও মেয়ে কানিমোঝি।করুণানিধির হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ে একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ৯৪ বছরের ডিএমকে নেতা ঘুমিয়ে রয়েছেন। তাঁকে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। যন্ত্রে করুণানিধির শারীরিক অবস্থার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা সুস্থতারই লক্ষণ। তবে এর পিছনে অনুগামীদের শান্ত করার উদ্দেশ্যও হতে পারে। কারণ, জয়ললিতার ক্ষেত্রেও এই ধরনের ছবিই প্রকাশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শিল্পপতিদের সঙ্গে এক ফ্রেমে দাঁড়াতে ভয় করি না, বিরোধীদের তোপ মোদীর