নিজস্ব প্রতিনিধি : আমাদের একটাই উদ্দেশ্য। কেউ যেন অভুক্ত না থাকে! কথাগুলো বলতে বলতে যেন হযাত্ই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন পীযূশ গোয়েল। মাত্র পাঁচ টাকায় পেট ভর্তি খাবার। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন মাত্র পাঁচ টাকায়। হ্যাঁ, এই দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন কেসিআর, সময়ের আগেই ভোট তেলেঙ্গানায়!


আগ্রার তাজমহলের সামনে যমুনা কিনারা রোড। সেখানে মায়ের রান্নাঘর। আমরা অবশ্য নামটাকে বাংলায় তর্জমা করে বললাম। আসল নাম মা কি রসোই। পাঁচ টাকায় মায়ের রান্নাঘর ছাড়া আর কোথায় এরকম পেট ভর্তি খাবার পাবেন বলুন তো! দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই বাজারে পাঁচ টাকায় এত কিছু! ভাত, চারটে চাপাটি, ডাল, তরকারি, আচার ও একটা সুস্বাদু মিষ্টি। এত কিছুর দাম মাত্র পাঁচ টাকা। সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত চলে কুপন বিলির কাজ তার পর বারোটা নাগাদ মায়ের রান্নাঘর খুলে যায়। দুপুর দুটো পর্যন্ত সেখানে পা ফেলার মতো জায়গা থাকে না। ভিড়ে ভিড়। কী ভাবছেন? পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কিনা? খাওয়া-দাওয়ার পর এখানে ক্রেতাকেই থালা ধুঁয়ে রাখতে হবে। অবশ্য এর পরও লোকজন রয়েছেন যাঁরা কিনা স্টিলের থালা আরও একবার ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে তুলে রাখেন।


আরও পড়ুন-  ‘এখানে কোনও ঘৃণা নেই’, মানস সরোবরে পৌঁছে মনমুগ্ধ রাহুল


একেবারে হাতে গরম খাবার পরিবেশন করা হয়। তাও পরিচ্ছন্ন স্টিলের ঝকঝকে থালায়। গত মঙ্গলবারই আবির্ভাব হয়েছে মায়ের রান্নাঘর-এর। কিন্তু গত দুদিনে সেখানে ভিড় যেন বাধ মানছে না। দুস্থ, দরিদ্র মানুষ যেন অন্তত একবেলা পেট ভরে ভাল খাবার খাওয়ার এক স্থায়ী ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে তবে মায়ের রান্নাঘর-এর সঙ্গে যুক্তি পীযূশ গোয়েল বলছেন, স্থানীয় অনেক মানুষ আমাদের খাবার চেখে দেখার জন্য এসেছেন কেউ খারাপ বলেনি। পথচলতি প্রচুর মানুষ এখানে খেতে আসছেন। দুপুরের দিকে দম ফেলার অবকাশ থাকে না। 


আরও পড়ুন-  'পাকিস্তানের জন্য আমরা নীরজ চোপড়া হতে পারি, কিন্তু একটা শর্তে!'


সবেমাত্র যমুনা কিনারা রোডে একখানাই আস্তানা হয়েছে মায়ের রান্নাঘর-এর। তবে খুব শিগগির আরও বেশ কয়েক জায়গায় হবে মায়ের রান্নাঘর। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। এর মধ্যে কী তাজমহল দেখতে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে আপনার? তা হলে একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন মা কি রসোই-তে। পাঁচ টাকায় পেট ভর্তি খাবার। কোথায় পাবেন!