ব্যুরো: মেড ইন চায়না এবার, OUT। মেক ইন ইন্ডিয়া, IN। দীপাবলীর আগে এই স্লোগানই উঠছে দেশজুড়ে। কারণ, চিনের পাক প্রীতি। ফেসবুক, টুইটার উপচে পড়ছে চিনা জিনিস বয়কটের ডাকে। ফলও মিলছে হাতে গরম। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, দীপাবলীর বাজারে চিনের জিনিসপত্র বিক্রির হার, একধাক্কায় এখনই নেমে গিয়েছে প্রায় তিরিশ শতাংশ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছরের এই সময়ে চিনা মালের বাজার থাকে গরমাগরম। দীপাবলী মানেই এমন রঙবেরঙের লাইট....যার প্রায় সবটাই মেড ইন চায়না। ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, খেলনাপাতি থেকে পোশাক, কার্পেট, পর্দা, ঘর সাজানোর টুকিটাকি। সবেতেই থাবা চিনা জিনিসের। সস্তায় হরেক মাল। চলেও রমরমিয়ে। এবার কিন্তু পাল্টে গিয়েছে এ ছবি। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা CAIT-র দাবি, দীপাবলীর বাজারে চিনা জিনিসের বিক্রি এবার কমেছে প্রায় তিরিশ শতাংশ। শুধু বণিকসভাগুলিই নয়, পাবলিকও এবার চিনা মালের দিকে ঘেষতে নারাজ।


ফেসবুক, টুইটারে চলছে লাগাতার ক্যাম্পেন। স্লোগান উঠছে, চিনা মাল দূর হঠাও। হোয়াটস অ্যাপেও এধরনেরই মেসেজের ঝড়। পঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাঠা... দ্রাবিড়, উত্‍কল, বঙ্গ... সবাই আজ এক। সুর এক। স্লোগান এক।...ব্যতিক্রম নয় এরাজ্যও। কারণ একটাই। বেজিংয়ের ইসলামাবাদ প্রীতি।এতেই খাপ্পা ভারত। 


পর্দার পিছনে নয়, একেবারে খুল্লমখুল্লা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। গোয়ায় ব্রিকসের মঞ্চ থেকে সন্ত্রাস নিয়ে সুর চড়ালেও, সম্মেলন শেষ হতে না হতেই ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বেজিং। বন্ধু পাকিস্তানের হয়ে গলা চড়িয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। (ভারত এবং পাকিস্তান সন্ত্রাসের শিকার। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচুর উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। আত্মত্যাগও করেছে। আন্তর্জাতিক মহলের সেকথা মনে রাখা উচিত।) 


উরি হামলার পরও চিন এভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোয়, ভারতে চড়ছে ক্ষোভের পারদ। কূটনৈতিক জবাব নয়, এবার আসরে একেবারে আম জনতা নিজেই। 
খেল দেখাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। দেখাচ্ছে, এর ক্ষমতা কত। চিনা জিনিসের প্রতি এতদিনের প্রেম-প্রীতি এবার তাকে তুলে, শুরু হয়েছে চিনা জিনিস বয়কট। এই উদ্যোগে সামিল বহু ব্যবসায়ী সংগঠনও।  মোদীর সুরে সুর মিলিয়ে এবার তাই ভারতবাসীর ভরসা, মেক ইন ইন্ডিয়া।