নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোট করাতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে কোণঠাসা কমল নাথকে। শনিবার কমল নাথকে এমনই নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন। এদিনই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোট করানোর দাবি জানান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে, শনিবারই অমিত শাহকে চিঠি লেখেন কমল নাথ। সেখানে তিনি অনুরোধ করেন, আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করে কংগ্রেসের ২২ বিধায়ককে মুক্ত করুন।


আরও পড়ুন-অকাল বৃষ্টিতে ভাসছে রাজ্য, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় আলু চাষীরা


অন্যদিকে, রবিবার সকালেই জয়পুর থেকে ভোপালে এসেছেন কংগ্রেসের বিধায়করা। তাঁদের রাখা হয়েছে ভোপালের ম্যারিয়ট হোটেলে। এদিন বিজেপি নেতা কৌটিল্য ভুরিয়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমাদের সঙ্গে ১১২ জনেরও বেশি বিধায়ক রয়েছেন।



আগামিকাল আস্থা ভোটে কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কার কংগ্রেস শিবির। কিন্তু ২২ বিধায়ক চলে যাওয়ার পর মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকার টিকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখন দেখে নেওয়া যাক হিসেবটা কী।


বর্তমানে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা ২২৮। সংখ্যগরিষ্ঠতা পেতে গেল জোগাড় করতে হবে ১১৫ বিধায়কের সমর্থন। এতদিন কংগ্রেস শিবিরে ছিল ২১২ বিধায়কের সমর্থন। এদের মধ্যে ছিলেন ৪ নির্দল, ২ বসপা বিধায়ক ও ১ সপা বিধায়কের সমর্থন।


আরও পড়ুন-রবীন্দ্র সরোবর মেট্রোর লাইনে আত্মহত্যা, ব্যাহত পরিষেবা 


এদিকে, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার যদি পদত্যাগী ২২ বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন তাহলে কংগ্রেসের হাতে থাকবে মাত্র ৯২ বিধায়ক। সম্প্রতি দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিল কংগ্রেস। সেই বৈঠকে আসেননি বসপার ২ ও সপার ১ বিধায়ক। উপস্থিত ছিলেন নির্দলের ৪ বিধায়ক। এখন ওই ৪ বিধায়ক যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন তাহলে কংগ্রেসের শক্তি হবে ৯৬। আবার ২২ বিধায়কের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে সংখ্যাগরিষ্টতা গিয়ে দাঁড়াবে ২০৬-এ। তার পরেও বিজেপির থেকে পিছিয়ে থাকবে কংগ্রেস। ফলে বিধায়ক জোগায় করতে না পারলে আস্থা ভোটে কমল নাথের হার নিশ্চিত।