নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রে বিজেপির সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার পূর্বাভাস মিলতেই মধ্য প্রদেশের সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। কমল নাথের সরকারকে সংখ্যালঘু উল্লেখ করে রাজ্যপালের কাছে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানাল বিজেপি। কয়েক দিন আগেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার ২২ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না কমল নাথ। গতকালই শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। আর আজই কমল নাথের সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলল গেরুয়া শিবির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকাল অধিকাংশ বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ফের ৩০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ। বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে কয়েকটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। প্রায় সব বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় কম-বেশি ভোট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে দেখানো হয়েছে। এর ফলে চূড়ান্ত ফল বেরনোর আগেই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে বিজেপি নেতাদের। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে শরিক সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির সুপ্রিমো ওপি রাজভড়কে সরানো চেষ্টা করছে। আর মধ্য প্রদেশে কমল নাথের সরকার ফেলতে আদাজল খেয়ে নামল বিজেপি।


সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গোপাল ভর্গভ রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলকে চিঠি দিয়ে জানান, বিভিন্ন ইস্যুকে খাঁড়া করে রাজ্যপালের কাছে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানানো হয়েছে। ঘোড়া কেনাবেচায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার দিন ফুরিয়েছে। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, কমল নাথ সরকারের কাজকর্মে অখুশি একাংশ কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁরা দল ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ গোপাল ভর্গভের।


আরও পড়ুন- প্রায় ১২ হাজার ফুট উঁচু তাশিগঙ্গের বুথে ভোটের হার ১৪৩ শতাংশ! সব ভোটই বৈধ জানাল কমিশন


উল্লেখ্য, বুথ ফেরত্ সমীক্ষায় মধ্য প্রদেশে কংগ্রেসের কার্যত ধূলিসাত্ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। ২৯টি লোকসভা আসনের ২৬-২৮ টি বিজেপির ঝুলিতে ঢুকছে বলে জানানো হয়। গত বছর মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেখানে বিজেপিকে হটিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়লেও দুই দলের আসন সংখ্যার নিরিখে তাদের অবস্থান খুব কাছাকাছি। কংগ্রেস পায় ১১৪টি আসন। বসপার ২টি আসনের সাহায্যে সরকার গড়ে কংগ্রেস। অন্য দিকে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৯টি আসন।