জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশের মইহারে গণধর্ষণের ঘটনায় ২ অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মইহারে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, অভিযুক্ত রবীন্দ্র কুমার ও অতুল ভাদোলিয়া ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। কামড়ে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এমনকি তার যৌনাঙ্গে শক্ত জিনিস দিয়ে আঘাতও করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার মইহার শহরে এক ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে গণধর্ষণ ও তার উপর নৃশংসর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিসের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ধর্ষণের বিষয়টি আরও নিশ্চিত করে বলা যাবে। ওদিকে ঘটনার পরই শুক্রবার মইহার পৌরসভার তরফে দুই অভিযুক্তের পরিবারের কাছে তাদের জমি এবং ভবন সম্পর্কিত নথি চেয়ে নোটিস জারি করে। তদন্তে জানা যায় যে উভয় অভিযুক্তের বাড়ি-ই অবৈধ ছিল। 


অভিযুক্ত অতুল ভাদোলিয়ার বাড়িটি 'নজুল' জমিতে মানে অকৃষি কাজে ব্যবহৃত সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। ওদিকে কুমারের বাড়ি অনুমতি ছাড়া-ই তৈরি হয়েছিল। এরপরই এদিন সকালে দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় প্রশাসন শনিবার দুই অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা বাড়ি ভাঙতে এলে অভিযুক্তদের পরিবার অনেক কাকুতি-মিনতি করেন। আগে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত করেনি বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের সরকার-প্রশাসন। 



প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আধিকারিকরা যখন ভাদোলিয়ার বাড়িতে পৌঁছন, তখন তার পরিবারের সদস্যরা তদন্ত শেষ হওয়ার পরই যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা বাড়ি ভেঙে দিয়ে চলে যান। মইহার শহরের একটি বিখ্যাত মন্দিরের পরিচালন ট্রাস্টে কাজ করে অভিযুক্ত দুজন। অভিযোগ, তারা ওই কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে একটি জনবিচ্ছিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তারা তাকে গণধর্ষণ করে। তার উপর নির্মম অত্যাচার চালায়। প্রচুর রক্তপাত হয় ওই কিশোরীর। শরীরে রয়েছে কামড়ের চিহ্নও।


বর্তমানে রেওয়াতে একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে ওই কিশোরী। ওদিকে ধৃতদের শুক্রবার আদালতে পেশের পর তাদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি বা ভারতীয় দণ্ডবিধির যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। ঘটনার পর মা সারদা দেবী মন্দির পরিচালনা কমিটি, মইহারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে অভিযুক্ত কুমার এবং ভাদোলিয়াকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তাদের অশোভন কাজ মন্দিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।"


আরও পড়ুন, Manipur Violence: 'ভয়ংকর ঘটনা ঘটছে মণিপুরে,' বিস্ফোরক মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)