জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অসম লড়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন তিনি। শিশু সন্তানকে বাঁচালেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা। জঙ্গল থেকে হঠাৎই লোকালয়ে আসে একটি বাঘ। এবং একটি দেড় বছরের শিশুকে আক্রমণ করে বসে। তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিশুটির মা অর্চনা চৌধুরী তখন সন্তানকে বাঁচাতে খালি হাতেই বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের নেমে পড়েন। অগ্রপশ্চাৎ চিন্তা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কয়েক মিনিট ধরে বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান তিনি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকাবাসীরা এসে পৌঁছন। এবং তাঁদের উদ্ধার করেন। আহত মা ও তাঁর শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ সংলগ্ন এলাকার কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সময়ে অর্চনা এবং তাঁর শিশু ওই অঞ্চলেই একটি মাঠে ছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতে অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। বন্যপ্রাণীর জন্য সংরক্ষিত এলাকাগুলির কাছে বসবাসকারী মানুষের উপর জীবজন্তুর হামলা নতুন নয়। গ্রামবাসীরা বলেন, শুধু বাঘই নয়, হাতিও তাঁদের গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করে নিয়মিত। জানা গিয়েছে, বাঘটি ওই শিশুর মাথার মধ্যে দাঁত বসিয়ে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। শিশুটিকে বাঁচাতে মা তখন বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা লাঠি নিয়ে ছুটে আসেন এবং বাঘটিকে শেষ পর্যন্ত তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। জানা গিয়েছে, ওই মায়ের ফুসফুসে বাতাস চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাঁর শরীরে গভীর ক্ষত রয়েছে। শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়েছে। এক চিকিৎসক জানান, শিশুটির আঘাত তত গুরুতর নয়, তবে মা গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। জব্বলপুর শহরের সিভিল সার্জন মিষ্টি রুহেলা বলেন, আইসিইউ-তে মা ও শিশুর চিকিৎসা চলছে।


আরও পড়ুন: ISI Spy Girls: হানিট্র্যাপ! সুন্দরী আইএসআই এজেন্টকে গোপন তথ্য পাচার করে গ্রেফতার ভারতীয় সেনা


ভারতজুড়ে যেসব মানুষ বনাঞ্চলের কাছাকাছি থাকেন, তাঁরা ক্রমাগত বন্যপ্রাণীর সঙ্গে লড়াই করেই বাঁচেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দ্রুত নগরায়ণের কারণে বন্যপশুর প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই বন্য শিকার ও আশ্রয়ের খোঁজে জঙ্গল-লাগোয়া বিভিন্ন গ্রাম, এমনকি কখনও কখনও গ্রাম-লাগোয়া শহরেও হানা দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা।


ইতিমধ্যে বাঘটি গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। ভারতের বন বিভাগের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বাঘটিকে খুঁজে বের করে আটক করা। এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাঘ যেন সংরক্ষিত এলাকা থেকে না পালাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।