নিজস্ব প্রতিবেদন: মহালয়ায় একই চিত্র গঙ্গা ঘাট ও গয়ায় ফল্গু নদীর তটে। পঞ্জিকামতে তর্পণের সময় এগারোটারা কাছাকাছি হলেও সকাল থেকেই গয়ায় ফল্গু নদী, শীতাকুণ্ড, প্রেতশীলায় মানুষের ঢল। দেশের প্রায় সব অংশের মানুষের ভিড়ে গয়া যেন মিনি ভারত। সকাল থেকেই সেখানে মানুষ পূর্বপুরুদের উদ্যেশ্য তর্পণ করছেন, কেউ পিণ্ডদান করছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গভীর রাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বাইক-লরির মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩


পিতৃপক্ষের শেষলগ্নে ফল্গু নদীর তটে তর্পণের জন্য মানুষের ঢল নামে সকাল থেকই। হাজার হাজার মানুষের অগমণের কথা মাথায় রেখে ফল্গু নদীতে বালি খুঁড়ে জলের ধারা বের করা হয়েছে। সেখানেই তর্পণ করে বিষ্ণুপাদ মন্দিরে পিণ্ড দান করেন পূণ্যার্থীরা।


এই কর্মজীবনের শেষে রয়েছে মৃত্যু। বহু মানুষের বিশ্বাস মৃত্যুর পরে অপেক্ষা আত্মার মুক্তি। সেই মুক্তি যেখানে, সেই বিষ্ণুলোকে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করছেন। পিতৃপক্ষ যখন থেকে শুরু হয়েছে তখন থেকেই মানুষের ভিড়। ফল্গুর অদূরে বিষ্ণুপাদ মন্দিরেও তর্পণ ও পিণ্ডদান চলেছে।


আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ের ক্ষমতা হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির, আভাস সমীক্ষার


মূল চারটি ক্ষেত্র রয়েছে গয়াকে ঘিরে। ব্রহ্মজোনি, ঘাটশিলা ও প্রেতশিলা নামে তিনটি পাহাড় ঘিরে রয়েছে গয়াকে। এর মধ্যে অক্ষয় বট, বিষ্ণুপাদ মন্দির, সীতাকুণ্ড, ফল্গুর চর-এই চারটি জায়গায় তর্পণ চলে।


ভিড়ের কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিহার সরকার। মোতায়েন করা হয়েছে ঘোড় সওয়ার ও সাদা পোশাকের পুলিস। পাশাপাশি ফল্গুর চরে তর্পণের সঙ্গেই চলছে সাফাইয়ের কাজ।