নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণে সনিয়া গান্ধীকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানালেন উদ্ধব ঠাকরে। দেখা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও। উদ্ধবপুত্র আদিত্য সাংবাদিকদের জানান, সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছিলেন।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে এনসিপি-কংগ্রেস ও শিবসেনা জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন উদ্ধব ঠাকরে। ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজনীতির তামাম নেতানেত্রীদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আহমেদ পটলকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে তাঁরা থাকবেন না বলে জল্পনা। এরপরই রাতে দিল্লিতে পাড়ি দেন উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য। ১০ জনপথে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে শপথগ্রহণে আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি। দেখা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও। 




সংবাদিকদের উদ্ধব ঠাকরে বলেন,''সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁদের আর্শীবাদ ও পথপ্রদর্শন দরকার। এবার মুম্বইয়ে ফিরছি।''      



বিজেপির সঙ্গত্যাগের পর কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে জোট করেছে শিবসেনা। আর সেই জোট সম্ভব হত না সনিয়া গান্ধীর অনুমোদন ছাড়া। সূত্রের খবর, হিন্দুত্ববাদী দলের সঙ্গে জোটে প্রাথমিকভাবে আপত্তি করেছিলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতাদের পরামর্শ সম্মতি দেন। বুধবার সনিয়া গান্ধীকে ধন্যবাদ জানান উদ্ধব ঠাকরে। বলেন, ''মহারাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি।''    


শিবসেনা ও বিজেপি জোট করে নির্বাচনে লড়াই করলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বে দাবি নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। ৫০-৫০ শর্তে জোট হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা দাবি করে, আড়াই আড়াই বছর করে দু'দলের মুখ্যমন্ত্রী থাকবে মহারাষ্ট্রে। প্রথম পর্যায়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও আড়াই বছর পর তাঁকে সরে দাঁড়াতে হবে। আর সেটা লিখিত দিতে হবে বিজেপিকে। কিন্তু উদ্ধবের শর্ত মানতে রাজি হয়নি গেরুয়া শিবির। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে হাত তুলে দেয় মোদীর দল। এরপর এনসিপি-কংগ্রেসকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে শিবসেনা। তিন দলের জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরের নামে পড়ে শিলমোহর। কিন্তু পরেরদিনই সাত সকালে এনসিপি থেকে অজিত পাওয়ারকে ভাঙিয়ে  শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব পান অজিত পাওয়ার। কিন্তু, ৭২ ঘণ্টা পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। অজিত পাওয়ার ইস্তফা দিয়ে ফিরে যান গেরুয়া শিবিরে। বাধ্য় হয়ে ইস্তফা দেন ফড়ণবীস।               



বলে রাখি, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। এনসিপি ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪। ১০৫টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গঠনের জাদু সংখ্যা ১৪৫। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোট করে আসন দাঁড়াবে ১৫৪টি।


আরও পড়ুন- এমন করছে যেন আমি রঙ্গা বিল্লা, সুপ্রিম কোর্টে জামিন-আর্জিতে সওয়াল চিদম্বরমের