নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রে কুর্সির লড়াই। আর ক্ষমতার লড়াই ভাঙন ধরিয়েছে পুরনো সম্পর্কে। বিজেপি-শিবসেনা এখন ভিন্নপথে। এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মরাঠাভূমে রাজত্ব করার পথে উদ্ধব ঠাকরের দল। মোদী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আগেই। এবার দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিলেন, রাজ্যসভায় বিরোধী আসতে বসতে চলেছে শিবসেনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে। সংসদের উচ্চকক্ষে সেনার ২ জন সাংসদ রয়েছেন। তাঁদের বিরোধী আসনে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয় রাউত বলেন,''এনডিএ কোনও একটা দলের জমিদারি নয়। অনেকগুলি দল মিলিত হয়ে জোট করেছিল। তাদের কেউ আছে, কেউ ছেড়ে গিয়েছে।'' বিজেপির নাম না নিয়ে রাউত আরও বলেন, ''বালাসাহেব, অটলজি, প্রকাশ সিং বাদল হাত মিলিয়েছিলেন। সেই এনডিএ-র সঙ্গে আজকের এনডিএ-র আকাশ-পাতাল ফারাক। আজ জানতে পারলাম, সংসদে আমাদের বসার জায়গা বদলে দেওয়া হয়েছে।''       


মহারাষ্ট্রে জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে চলেছে এনসিপি-কংগ্রেস ও শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরে না আদিত্য ঠাকরে, মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে মুখ খোলেনি শিবসেনা। তবে শিবসেনা থেকেই যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে তা নিয়ে আর কোনও ধোঁয়াশা নেই। দু'টি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পাচ্ছে কংগ্রেস ও এনসিপি।  


শিবসেনা ও বিজেপি জোট করে নির্বাচনে লড়াই করলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বে দাবি নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। ৫০-৫০ শর্তে জোট হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা দাবি করে, আড়াই আড়াই বছর করে দু'দলের মুখ্যমন্ত্রী থাকবে মহারাষ্ট্রে। প্রথম পর্যায়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও আড়াই বছর পর তাঁকে সরে দাঁড়াতে হবে। আর সেটা লিখিত দিতে হবে বিজেপিকে। কিন্তু উদ্ধবের শর্ত মানতে রাজি হয়নি গেরুয়া শিবির। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে হাত তুলে দেয় মোদীর দল। 


বলে রাখি, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। এনসিপি ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪। ১০৫টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গঠনের জাদু সংখ্যা ১৪৫। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোট করে আসন দাঁড়াবে ১৫৪টি। 


আরও পড়ুন- বারুইপুরের রাস্তা বেহাল, মেরামতির দাবিতে ফিরহাদকে চিঠি খোদ তৃণমূল সাংসদ মিমির