নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে দশক পুরনো শরিককে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে নারাজ কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ৩ পাতার শর্ত তৈরি করেছে সনিয়া গান্ধীর দল। তার অন্যতম ঠাকরের পরিবারের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা যাবে না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হবে আদিত্য ঠাকরেকে। আর সেই নিয়েই যাবতীয় বিবাদ বিজেপি-শিবসেনার। সূত্রের খবর, জোটের শর্ত হিসেবে কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, ঠাকরে পরিবারের কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হবে। মানে আদিত্য ঠাকরেকে মু্খ্যমন্ত্রী চায় না তারা। একইসঙ্গে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিও তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস-এনসিপি। মঙ্গলবার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত নিশ্চিত করেছেন, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরির কাজ চলছে। এনসিপি-র শর্ত মেনেই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শিবসেনার একমাত্র সাংসদ। 


নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনই শিবসেনা মনে করিয়ে দিয়েছিল, জোটের শর্ত মেনে ৫০-৫০ ক্ষমতাবণ্টন করতে হবে। পরে তারা শর্ত দেয়, দুই দল থেকে আড়াই আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। শিবসেনার শর্ত মেনে নেয়নি বিজেপি। আর তাতেই ভেঙে গিয়েছে ৩০ বছরের জোট। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, তারা সরকার গঠনে অক্ষম। এদিকে কংগ্রেস-এনসিপি-কে নিয়ে সরকার গঠনে মাঠে নেমে পড়েছে শিবসেনা। কিন্তু শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেপে নিতে চাইছে হাইকম্যান্ড। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে জোট সরকারে ৪টি মন্ত্রকও বিধানসভার অধ্যক্ষের পদ চেয়েছে তারা। সেনার দখলে থাকা পুরসভাগুলি নিয়েও দাবিদাওয়া রয়েছে কংগ্রেসের।



শিবসেনার সঙ্গে জোট নিয়ে দোটানায় ভুগছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। শিবসেনা কতখানি নির্ভরযোগ্য সে নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তাঁর। জোট নিয়ে আপত্তি করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বন, পৃথ্বিরাজ চহ্বন ও সুশীলকুমার শিন্ডেরা সরকার গঠন করতে তত্পর। তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন, চালকের আসনে থাকবে শিবসেনা। গাড়ির চাবি এনসিপি-র দখলে। আর ব্রেকের নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস। 


সূত্রের খবর, তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তিনি আলোচনা চালাচ্ছেন। সনিয়া মনে করছেন, বিজেপি ও শিবসেনা স্বাভাবিক বন্ধু। ৩০ বছর ধরে তাঁদের জোট। ফলে উদ্ভূত সংঘাত সাময়িক হতে পারে। কিন্তু শিবসেনা ও কংগ্রেসের নীতি ভিন্নমেরুর। হিন্দুত্ববাদী দলের সঙ্গে হাত মেলালে কংগ্রেসের 'সেকুলার ইমেজে' লাগতে পারে ধাক্কা। সেটা ভালোমতোই বোঝেন কংগ্রেস সভানেত্রী।


আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সুপারিশে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির অনুমোদন রামনাথ কোবিন্দের


বলে রাখি, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। এনসিপি ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪। ১০৫টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গঠনের জাদু সংখ্যা ১৪৫। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোট করে আসন দাঁড়াবে ১৫৪টি।    


আরও পড়ুন- সরকার গঠন ঠেকাতে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল, সুপ্রিম কোর্টে জানাল শিবসেনা