`শ্রদ্ধাকে ৩৫ করেছিল, তোমায় আমি ৭০ টুকরো করব!`
অভিযুক্ত প্রথমে ধর্ষণ করে। তারপর সেই ঘটনার ভিডিয়োও দেখিয়ে ব্ল্যাকেমেইল করতে শুরু করে। ওই যুবতী তাদের সন্তানেরও জন্ম দেয়। তারপর লিভ-ইনে থাকাকালীন ইচ্ছেয় আপত্তি জানাতেই হুমকি!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল। তোমায় আমি ৭০ টুকরো করব!' মহারাষ্ট্রের এক যুবতীকে ঠিক এই ভাষাতেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা ওই যুবতী। অভিযোগ, ওই যুবতী তাঁর লিভ-পার্টনারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁকে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনার তুলনা টেনে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে ৭০ টুকরো করার ভয় দেখায় অভিযুক্ত।
অভিযুক্তের নাম আরশাদ সালিম মালিক। জানা গিয়েছে, ২০২১-এর জুলাই থেকে আরশাদের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে আছেন ওই যুবতী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯-এ এক পথ দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। তাঁদের এক সন্তানও আছে। সেই সন্তানের বয়স এখন ৫ বছর। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তির আলাপ হয়। যে নিজেকে হরষাল মালি বলে পরিচয় দিয়েছিল। সেই ব্যক্তি তাঁকে ধুলের লালিং গ্রামে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে তাঁকে ধর্ষণ করে। এমনকি সেই ঘটনার ভিডিয়োও করে। তারপর সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকেমেইল করতে শুরু করে।
এরপর তাঁরা দুজন ঠিক করেন যে তাঁরা লিভ টুগেদার করবেন। সেইমতো ২০২১-এর জুলাই মাসে তাঁরা দুজন আমালনের চলে যান। তাঁদের দুজনের লিভ-ইন সম্পর্কের একটা হলফনামা বানাতে। তখনই ওই যুবতী জানতে পারেন যে, অভিযুক্তের আসল নাম আরশাল সালিম মালিক, হরষাল মালি নয়। এরপরই সে ওসমানাবাদে একটি ফ্ল্যাট নেয়। সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তোলে ওই যুবতীকে। অভিযোগ, এরপর জোর করে তাঁর ও তাঁর সন্তানের ধর্মান্তরণও করা হয়। এমনকি ওই যুবতীকে অভিযুক্তের বাবাও নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ।
ওসমানাবাদে থাকার ৪ মাস বাদেই আবার জায়গা পাল্টায় অভিযুক্ত। ওই যুবতীকে নিয়ে ধুলের ভিট্টা ভাট্টি এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওঠে। সেখানে ওই যুবতী তাদের সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু এইসবের মাঝে আরশাদ মালিক তাঁর উপর লাগাতার অত্যাচার চালিয়ে যেতে থাকে। নির্যাতিতা পুলিসকে জানিয়েছেন, অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে ওই যুবতী যখন বেঁকে বসেন, আরশাদের ইচ্ছেয় আপত্তি জানান, তখন সাইলেন্সার দিয়ে তাঁর চামড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে তাঁকে এই বলে হুমকি দেওয়া হয় যে, শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল, কিন্ত তাঁকে ৭০ টুকরো করা হবে! নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত আরশাদ সালিম মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Delhi Live-In Partner Murder: টুকরো টুকরো দেহ? দিল্লিতে ফের লিভ-ইন পার্টনারের হাতে নৃশংস খুন!