নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন লঘু হওয়ার সঙ্গে রাসায়নিক কারখানায় ফিরেছিল কাজের গতি। কিন্তু, বুধবার দুপুরে হঠাত্ই প্রচন্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গুজরাটের দহেজ। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেল গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের প্রচন্ড আগুনে গুরুতরভাবে জখম হলেন কারখানায় কর্মরত প্রায় ৪০ জন কর্মী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আহতদের অনেকেরই দেহ বিস্ফোরণের প্রচন্ড আগুনে ঝলসে যায়। তাঁদের বের হতে বাকি কর্মী ও স্থানীয়রা সাহায্য করেন। এর পর তাঁদের ভারুচের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমদমের ১০টি ইঞ্জিন।


একই সঙ্গে রাসায়নিক কারখানার ধোঁয়ায় স্থানীয়দের ক্ষতির আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে এলাকা খালি করে দেয় প্রশাসন। স্থানীয়দের বেশ কিছুটা দূরে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় আধিকারিকদের নির্দেশমাফিক কারখানার আশেপাশের দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের স্থানান্তিত করা হয়েছে। 


ভারুচ জেলার কালেক্টর এমডি মোদিয়া বলেন, "এখনও প্রচন্ড আগুন ও ধোঁয়ায় কারখানাটি ঢেকে গিয়েছে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়দের নিরাপত্তার খাতিরে আগেভাগেই দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"


ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কারখানা থেকে বের হতে থাকা মারাত্মক ধোঁয়ার ছবি পোস্ট করেছেন অনেকে।যশস্বী রসায়ন নামের একটি  কৃষি-রাসায়নিক সংস্থার সারের কারখানা ছিল এটি। 
 



গোটা ঘটনাটিকে গত মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের এলজি পরিমার রাসায়নিক কারখানার ঘটনা সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। সেই ঘটনায় ১১ জন প্রাণ হারান। বিষাক্ত বাতাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন প্রায় ২০০ জন।


আরও পড়ুন : করোনায় মৃত বৃদ্ধের চিতায় আগুন দিতেই পাথরবৃষ্টি শুরু, আধপোড়া দেহ নিয়ে পালাতে বাধ্য হল ২ ছেলে