করোনায় মৃত বৃদ্ধের চিতায় আগুন দিতেই পাথরবৃষ্টি শুরু, আধপোড়া দেহ নিয়ে পালাতে বাধ্য হল ২ ছেলে
লোকজন প্রথমে সত্কারে বাধা দেয় তারপরে আমাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় মৃত বৃদ্ধের মৃতদেহ সত্কার করতে এসে পাথর নিক্ষেপকারীদের হামলার মুখ পড়ল গোটা পরিবার। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে শেষপর্যন্ত আধপোড়া দেহ নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হল মৃতের ছেলেরা।
আরও পড়ুন-প্রবল যন্ত্রণায় এদিক ওদিক ছোটাছুটি করেছিল সেই গর্ভবতী হাতি, তবু কারও ক্ষতি করেনি
মঙ্গলাবর জম্মুর ডোডায় করোনায় মৃত ৭২ বছরের এক বৃদ্ধের দেহ সত্কার করতে এসেছিলেন তাঁর দুই ছেলে ও স্ত্রী। সোমবার ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয় ডোডার গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজে। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে দেহ নামিয়ে অন্তেষ্টি করতে যেতেই বিপদ। এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে যান শ্মশানে।
মৃত বৃদ্ধের ছেলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সরকারের রেভিনিউ অফিসার ও একটি মেডিক্যাল টিমকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাবার দেহ সত্কার করতে গিয়েছিলাম। ডোডার ডোমানা এলাকায় একটি শ্মশানে বাবার চিতায় আগুন দেওয়া হয়। তার পরেই কোথা থেকে এলাকার লোকজন এসে হাজির। ওরা প্রথমে সত্কারে বাধা দেয় তারপরে আমাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়ে যে আধপোড়া দেহ অ্যাম্বুল্যান্স তুলে পালাতে বাধ্য হই।
আরও পড়ুন-চাকরি বাঁচাতে ৫০০ টাকা খরচা করেই ছুটতে হচ্ছে অফিস, সারা মাসের খরচ শেষ ২ দিনেই
বৃদ্ধের ছেলে আরও জানিয়েছেন, সরকারের কাছে অনুমতি নিয়েই আমরা দেহ সংত্কারের জন্য ডোডায় নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছেল সব ঠিক করা আছে অন্তেষ্টিতে কোনও বাধা হবে না। ঘটনাস্থালে পুলিস ছিল কিন্তু কিছুই করেনি।
উল্লেখ্য পরে ওই মৃতদেহ সংত্করার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। পুলিসের উপস্থিতিতে সবকাজ সম্পন্ন হয়।