নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনে কাজ হারানোর ভয় করছিলেন বহু মানুষ। কাজ হারিয়েছেনও। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকরা কবে তাদের কাজের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন তার কোনও ঠিক নেই। এর মধ্যেই আশার কথা শোনাল সমীক্ষক সংস্থা সেন্টার ফর মনিটারিং ইকোনমি বা সিএমআইই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিএমআইই-র বক্তব্য লকডাউনের মধ্যে মে মাসেই কাজে ফিরেছেন দেশের ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ। তবে দেশে বেকারত্বর হার এখনও বেশি। দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৩.৫ শতাংশে। অর্থাত্ বেকার বাড়েনি।


আরও পড়ুন-নিহতের ৩টে বিয়ে! মালদায় গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহের তির এক স্ত্রীর দিকেই


সমীক্ষা সংস্থার প্রধান মহেশ ব্যাসের দাবি, এপ্রিলে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। তারা আবার কাজে ফিরেছেন। এদের এতদিন বেকার বলেই ধরা হতো। এদের অনেকে আবার কাজ খুঁজতে শুরু করেছেন।


ছোট সংস্থা ও শ্রমিকদের কাজে যোগ দাওয়ার হার ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। সিএমআইই-র দাবি ছিল শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই দেশের ১২.২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মে মাসের ছবিটা অনেকটাই আশা জাগায়। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবেই। দেশের আত্মবিশ্বাসী পরিশ্রমী মানুষের ওপরে আমার ভরসা রয়েছে।‘ প্রধানমন্ত্রীর কথারই হয়তো ইঙ্গিত দিচ্ছে সিএমআইই-র সমীক্ষা।


সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে এখন বেকারত্বের হার ২৩.৫ শতাংশ। এপ্রিল মাসেও একই হার ছিল। তবে এখনও প্রর্যন্ত কাজ ফিরে পেয়েছেন বা কাজের খোঁজ করছেন এমন মানুষের হার ৩৫.৬ শতাংশ।


সংস্থার প্রধান মহেশ ব্যাস অবশ্য সাবধান করেছেন। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে ব্যাস বলেন, মে মাসে মানুষের কাজ ফিরে পাওয়ার হার নিয়ে খুব বেশি উত্সাহের কিছু নেই। কাজের বাজার কিন্তু এখনও বেশ খারাপ। যারা বিভিন্ন সংস্থায় মাস মাইনেতে কাজ করতেন এবং লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন তাদের কাজ ফিরে পাওয়া বেশ শক্ত।


আরও পড়ুন-করোনা, আমফান এবার ধস! অসমে ভূমিধসে প্রাণ গেল ২০ জনের


এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলে আসছিল এই আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার খুব বেশি হলে ২.৮ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু সরকাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত দেশের জিডিপি ছিল ৩.১ শতাংশ। অর্থাত্ এই ত্রৈমাসিকে করোনার প্রভাব তেমন পড়েনি। এখন দেখার বিষয় পরে ত্রৈমাসিকে ওই হার কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।