ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে রেলপ্রকল্পগুলির ভবিষ্যত্‍ নিয়ে প্রশ্ন তুলে, এবার সরাসরি রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমলে ঘোষিত প্রকল্পগুলির প্রায় সবকটিই এখন বিশ বাঁও জলে। কাজে গতি আনার দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো থেকে টয়ট্রেন, একাধিক বিষয়ে উঠে আসে বৈঠকে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর পর, আজ ছিল রেলমন্ত্রীর পালা। রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে তাই হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজে একসময় রেলমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যের জন্য উজার করে একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করেন। নতুন ট্রেন থেকে রেললাইন, কোথাও হাসপাতাল কিংবা রেলের কারখানা।...কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ঘোষিত সেই সমস্ত প্রকল্পের প্রায় সবকটিরই কাজ এখন থমকে। কোনওটি শিলানাস্যেই শেষ। কিছু প্রকল্পে অক্সিজেনের মতো গুঁজে দেওয়া হয়েছে সামান্য অর্থ বরাদ্দ। তবে সবকটিই  ধুঁকছে।


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর কাছে একান্ত বৈঠকে কী দাবি রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


আজ রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে একথা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে রেলের প্রকল্পগুলিতে কাজে গতি আনার দাবি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে রেলের যতটুকু ভূমিকা, তা পালন করতে সুরেশ প্রভুকে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প টয়ট্রেন। এর জন্য নতুন রেল লাইন বসানো, টয়ট্রেনের আধুনিকীকরণেরও দাবি জানান তিনি। এর পাশাপাশি উঠে আসে রেল হকার প্রসঙ্গও।


রেলমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে এই হকারি পেশার সঙ্গে। রেল পুলিস দিয়ে হকারদের হঠিয়ে দিলে কী লাভ? তাঁদের জন্য বিকল্প কিছু যদি ভাবা যায়, এই আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। ১২ নম্বর আকবর রোডে সুরেশ প্রভুর বাড়িতে, প্রায় মিনিট ২০ কথা হয় দু'জনের। তার আগে এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।