নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি ও শিবসেনার কলহ তুঙ্গে। ফি দিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করছে উদ্ধব ঠাকরের দল। সেই উদ্ধবই বৃহস্পতিবার দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।শরিক হয়েও বিজেপির বিরোধিতা করায় উদ্ধবকে সার্টিফিকেট দিলেন মমতা। বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি বিরোধী জোটে অচ্ছুত্ নন উদ্ধব ঠাকরে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাতায় কলমে কেন্দ্রে ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির শরিক শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দু'দলের মধ্যে কোন্দল তুঙ্গে ওঠে। ভোটের আগে জোট ভাঙলেও একপ্রকার বাধ্য হয়েই মরাঠাভূমে বিজেপির হাত ধরে শিবসেনা।কিন্তু মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত উদ্ধবের দল। শিবসেনা প্রধান নিজেও একাধিকবার সরাসরি বিঁধেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। নোট বাতিলের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় দিল্লিতে মমতার সঙ্গে সামিলও হন উদ্ধবের প্রতিনিধি।      


বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বইয়ের ট্রাইডেন্ট হোটেলে মমতার সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধব। সঙ্গে ছিলেন ছেলে আদিত্য ঠাকরে।দু'ঘণ্টারও বেশি চলে বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জিএসটি নিয়ে উদ্ধবের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। শিবসেনা-বিজেপির সাম্প্রতিক মতবিরোধের মধ্যেই মমতা-উদ্ধব বৈঠক, অত্যন্ত তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দেশজুড়ে মোদী-বিরোধী জোট গড়ার যে কাজে মমতা নেমেছেন, উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠক তারই অঙ্গ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতার কথায়, ''এনডিএ-তে থেকেও সাধারণ মানুষের জন্য নানা ইস্যুতে বিজেপির বিরোধিতা করে একদম ঠিক কাজ করেন উদ্ধব ঠাকরে। আমরা সবাই একটা পরিবারের অংশ।'' 


বাজপেয়ী-আডবাণীর জমানা থেকে বিজেপির শরিক শিবসেনা। তবে মোদী-শাহ জমানায় বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছে তিক্ততায়। তার প্রধান কারণ হল, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জমি দখল করেছে বিজেপি। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলির ফলে তারাই সে রাজ্যে এখন বড় দা। ফলে শিবসেনার গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছে অনেকটাই। রাজনৈতিক মহলের মতে, অস্তিত্ব বাঁচাতেই শিবসেনাকে বিজেপির বিরোধিতা করতে হবে। কারণ, উদ্ধব ঠাকরে আর যাই হোন, বাল ঠাকরে নন। সে জন্য উদ্ধবও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন। মমতা-উদ্ধব বৈঠক ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য, ''২০১৯ সালের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটের মুখ হতে চাইছেন।'' 


আরও পড়ুন, বাংলা বদলে গিয়েছে, বিনিয়োগ করুন, শিল্পপতিদের বার্তা মমতার