ওয়েব ডেস্ক : ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে উতখাত করা হবে। RJD সুপ্রিমো লালু প্রদাস যাদবের ডাকে রবিবার পটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলে, ''গত শতাব্দীর ৭০-এর দশকে জরুরি অবস্থার সময় নসবন্দি করিয়ে বিপাকে পড়তে হয় ইন্দিরা গান্ধীকে। ঠিক একই রমকভাবে এবার নোটবন্দি করিয়ে কেন্দ্র থেকে হঠতে হবে বিজেপিকে।"     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবারের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। বলেন, ''২০১৪ সালে সরকারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশে আচ্ছে দিন নিয়ে আসবেন। তিন বছর কেটে গেলেও দেশের মানুষ আচ্ছে দিন দেখতে পায়নি। উল্টে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার কৃষকের।''


সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও আজ বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ''কেন্দ্রে এই দল চলছে  অফ দ্যা এজেন্সি, ফর দ্যা এজেন্সি অ্যান্ড বাই দ্যা এজেন্সির সৌজন্যে। তাই কথায় কথায় আমাদের সাংসদের জেলে পুড়ে দিচ্ছে।'' প্রসঙ্গত, সারদা ও নারদ মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।


আরও পড়ুন- লালুর বিজেপি বিরোধী সমাবেশে মমতাময় পটনার গান্ধী ময়দান


ধর্ষণ মামলায় ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই কোর্ট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চকুলা সহ হরিয়ানা, পঞ্জাব ও দিল্লির বিস্তির্ণ এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে পুলিস ও রাম রহিম ভক্তদের মধ্যে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩১ জনের। এই ঘটনায় আদালত হরিয়ানা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই ঘটনা নিয়েও আজ বিজেপিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।


আজকের এই সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সহ একাধিক নেতৃত্ব।