দেওচা-পাঁচমির কয়লাখনি উদ্বোধনে মোদীকে আমন্ত্রণ মমতার, অমিত`ভাই`-এর সঙ্গেও সাক্ষাতের ইচ্ছাপ্রকাশ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যের নাম বদলের বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সেরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জানালেন, পুজোর পরই বীরভূমের দেওচা-পাঁচমি কয়লাখনির উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন তিনি। আগামিকাল সময় হলে অমিত'ভাই'-এর সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ৭ লোককল্যাণ মার্গের মোদীর বাসভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হতেই তাঁর হাতে একথোকা হলুদ গোলাপ তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান মোদীও। এরপরই শুরু হয় বৈঠক। বৈঠক সেরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণের সময় আসবেন ঠিক ছিল। কিন্তু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনায় তখন আসতে পারেননি তিনি। এখন সময় পেতেই এসেছেন। এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়। এটা 'চেয়ার টু চেয়ার' মিটিং। এমনকি আগামিকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, "সময় হলে অমিত ভাইয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করব।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যের নাম বদলের বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে। রাজ্যের নামে 'বাংলা'কে সামনে রেখে কেন্দ্রের তরফে কোনও সাজেশন থাকলে, তাতে কোনও সমস্যা নেই। এরপরই তিনি জানান, বীরভূমের কয়লাখনি উদ্বোধনের জন্য প্রধামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি এই দেওচা-পাঁচমি। সেখানে প্রায় ২১০২ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, শুরু হল মোদী-মমতা বৈঠক, সাক্ষাতেই হলুদ গোলাপে বন্ধুত্বের বার্তা মমতার
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীরভূমের দেওচা-পাঁচমি কয়লা খনি কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে। রাজ্য তার নিজের যোগ্যতায় এই কয়লা খনি পেয়েছে। ১২ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছে এই প্রকল্পে। বহু ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে এই প্রকল্পে। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে পুজোর পরই দেওচা-পাঁচমির কয়লাখনির উদ্বোধন করা হবে। তবে বৈঠকে এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।