ওয়েব ডেস্ক : সাড়া দেয়নি বাম-কংগ্রেস। বাকি বিরোধীদের কাছ থেকেও তেমন সাড়া মেলেনি। শেষ পর্যন্ত নোট বাতিল ইস্যুতে শিবসেনা ও ওমর আবদুল্লাকে সঙ্গে নিয়েই রাইসিনা হিলসের পথে হাঁটলেন মমতা। তবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়ে গোটা দেশের নজর নিজের দিকে টানতে  সফল তৃণমূল সুপ্রিমো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস-বাম পাশে থাকবে না। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার সন্ধেতেই। বুধবার সকালে  NCP জানিয়ে দিল, রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে না তারাও। শিবসেনা পাশে থাকায়, প্রতিনিধি পাঠিয়ে দায় সারলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। শেষপর্যন্ত, ওমর আবদুল্লাকে পাশে নিয়ে কার্যত একাই রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে হল তৃণমূলকে।


নোট বাতিলে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে শুরুর দিন  থেকেই সোচ্চার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস-সিপিএম-সহ অবিজেপি দলগুলিকে এই ইস্যুতে পাশে পাওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছেন তিনি। ফোনে  কথা বলেছেন ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধী, কেজরিওয়ালদের সঙ্গে। বুঝিয়েছেন, মোদীর তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রপতির দরবারের যাওয়ার প্রয়োজনীতার কথা। কিন্তু, শেষপর্যন্ত পাশে পাননি কংগ্রেস-সিপিএমকে।


রাজনৈতিক মহল বলছে, দুই দলেরই নিজের নিজের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে মোদী বিরোধিতার ব্যাটন তাঁর হাতে তুলে দিতে চাইল না কংগ্রেস-সিপিএম। তৃণমূলের মতো নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি না করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিয়ে সংসদে কেন্দ্রকে চেপে ধরতে চায় সিপিএম। রাজনৈতিক মহলের মতে রাষ্ট্রপতি ভবনে না গিয়ে কংগ্রেস বুঝিয়ে দিল, এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে সিপিএম-সঙ্গেই বেশি স্বচ্ছন্দ তারা।  


তবে, রাজনৈতিক মহলের মত, বিরোধীদের একজোট করতে না পারলেও, দিল্লি থেকে একেবারের খালি হাতে ফিরছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়ে গোটা দেশের নজর নিজের দিকে টানতে একশো শতাংশ সফল তৃণমূল সুপ্রিমো।