নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সঙ্গত কারণে সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। এটা একেবার উচিত সময়। সবাই জানে দেশে কী চলছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে মমতা বলেন,'সবাই জানে দেশে কী চলছে। সবাইকে সম্মান করি। কেউ কেউ আমায় সমর্থন করে, কেউ বিরোধিতা। ওনাদের আশঙ্কার সঙ্গত কারণ রয়েছে। এটাই সরব হওয়ার সঠিক সময়। যে কোনও নাগরিকই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি জিচে পারেন।'



বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা। তবে তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও স্লোগান দিতে পারে। বিভিন্ন জাত, ধর্মও রয়েছে দেশে। সবাইকে সম্মান করা উচিত। দেশ বিপদে পড়েছে বলে মুখ খুলেছেন বুদ্ধিজীবী, শিল্পী ও সংস্কৃতির কর্মীরা। ধর্মীয় স্লোগানকে অসম্মান করি না।


এদিন অসহিষ্ণুতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। ওই এই চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায়-সহ আরও অনেকে। তবে বুদ্ধিজীবীদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে ভারত দ্রুত সরে আসছে বলে চিঠিতে দাবি করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও রিপোর্ট নেই সরকারের কাছে। তাঁদের দাবির নেপথ্যে পোক্ত ভিত্তিও নেই। দেশের সংবিধানের মূল্যবোধ বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশে কারফিউ জারির মতো পরিস্থিতি কোথাও নেই। 


আরও পড়ুন- 'বুদ্ধিজীবীরা তৃণমূলের কেনা গোলাম, জয় শ্রী রাম বলায় গণধোলাইয়ে মৃত্যু নিয়ে চুপ কেন?'