শিশুকন্যার পা ভেঙে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন, ধরা পড়ল সিরিয়াল কিলার
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার নওগাঁওয়ের বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ধর্ষণ করার আগে শিশুকন্যাদের পা ভেঙে ফেলত সুনীল। ধর্ষণের পর শিশুটিকে খুন করত সে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের মতো জঘন্য অভিযোগে ১ যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা বেরোল তাতে বাকরুদ্ধ পুলিস আধিকারিকরাও। ধৃত যুবক স্বীকার করেছে, অন্তত ৯ জন নাবালিকাকে এভাবেই খুন করেছে সে। ঘটনা দিল্লি লাগোয়া গুরুগ্রামের।
গত ১১ নভেম্বর গুরুগ্রামের সেক্টর ৬৬ থেকে উদ্ধার হয় ৩ বছরের একটি শিশুর দেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, খুন করা হয়েছে ওই শিশুকে। খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করেছিল আততায়ী। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে এক সুনীল কুমার নামে এক যুবকের সন্ধান পায় পুলিস। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত জানায়, গত ২ মাসে একই ভাবে অন্তত ৯ জন নাবালিকাকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে সে।
"সুব্রত মুখার্জি নন, ফিরহাদ হাকিম! ডালমে কুছ কালা হ্যায়", কটাক্ষ দিলীপের
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার নওগাঁওয়ের বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ধর্ষণ করার আগে শিশুকন্যাদের পা ভেঙে ফেলত সুনীল। ধর্ষণের পর শিশুটিকে খুন করত সে। এই ভাবেই দিল্লিতে ৪টি, গুরুগ্রামে ৩টি, উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি ও মধ্য প্রদেশের গ্বালিয়রে ১টি করে শিশুকন্যাকে খুন করেছে সে।
পুলিস জানিয়েছে, মূলত বেকার হলেও মাঝে মাঝে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করত সুনীল। দরিদ্র মানুষকে যেখানে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হত সেদিকে বিশেষ নজর থাকত তার। তার হাতে নির্যাতিত প্রতিটি শিশুর বয়স ৩ - ৭ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছে পুলিস।