নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের গণপিটুনির ঘটনায় প্রাণ গেল এক ‌যুবকের। তবে এবার আর গরু চুরি নয়। মোবাইল চোর সন্দেহেই পিটিয়ে মারা হল গুজরাটের দাহোদের এক ‌যুবককে। তার সঙ্গী ‌যুবককেও বেধড়ক মারধর করে জনতা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার গুজরাটের আদিবাসী অধ্যূসিত দাহোদের কালি মাহুদি গ্রামে জনা ২০ লোক ওই ২ জনকে ঘিরে ধরে। মোবাইল চুরির অভি‌যোগ ছিল দুই ‌যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তেজিত জনতা প্রবল মারধর করে আজমল ভাহোনিয়া নামে বছর বাইশের এক ‌যুবককে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আজমলের সঙ্গী ভারু মাথুরকেও প্রবল মারধর করা হয়। তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন হাসপাতালে ভর্তি ভারু।


আরও পড়ুন-সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা! রায়গড়ে একমাত্র জীবিতের মুখে হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা


পুলিস জানিয়েছে, তারা ‌যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয় তখন ওই দুই ‌যুবককে বেধড়ক মারধর করছে জনতা। পুলিস গিয়ে কোনওক্রমে তাদের উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই গুজরাটে এক কারখানার মধ্যে একজনকে পিটিয়ে মারা হয়। অভি‌যোগ সে কারখানায় ঢুকে চুরি করছিল। ঘোড়ায় চেপে ঘোরায় এক দলিত ‌যুবককে প্রবল মারধর করা হয় মাস দুয়েক আগে।


গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ক্রমশ আকছার হয়ে ‌যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজস্থানের আলওয়রে জনতা পিটিয়ে মারে রাখবর খান নামে এক ‌যুবককে। আশ্চ‌র্যের বিষয় হল, রাখবরকে হাসপাতালে নিয়ে ‌যওয়ার পরিবর্তে গরুগুলিকে গোশালায় নিয়ে ‌যায়। শুধু তাই নয়, রাখবরকে হাসপাতালে নিয়ে ‌যাওয়ার পথে তাকে মারধরও করা হয় বলে অভি‌যোগ। সবিমিলিয়ে ঘটনার ৪ ঘণ্টা পর রাখবরকে হাসপাতালে নিয়ে ‌যায় পুলিস। গতবছর আলওয়ারেই পেহলু খান নামে এক দুধ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারে জনতা।


আরও পড়ুন-মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতার 'রহস্যমৃত্যু', সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল দেহ


পুলিস সূত্রে খবর, ভারু ও আজমল সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ডাকাতি ও গোলমাল পাকানোর অভি‌যোগে তাদের জেল হয়। তাদের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভি‌যোগ রয়েছে। ঘটনার দিন দাহোদে তারা এলে তাদের মারধর হয়। অভি‌যোগ ছিল তারা একটি মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত।


সংবাদমাধ্যমে পুলিস আরও জানিয়েছে, মারধরের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয় পুলিস। আহত ভারুকে হাসপাতালে নিয়ে ‌যাওয়া হয়। ইতিমেধ্যই একটি খুনের মামলা করা হয়েছে। অভি‌যুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।