নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রোতিশোধ স্পৃহা এমনও হয়! সাপ কামড়েছে সন্দেহে সাপের মাথা কামড়ে, চিবিয়ে এমনটাই প্রমাণ করলেন উত্তরপ্রদেশের কৃষক সোনেলাল! কিন্তু হয়েছিল কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাজ্যের টোল ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার নম্বর ১০৮-এর মাধ্যমে ফোন আসে মোঘাগঞ্জ কমিউনিটি হেলফ কেয়ার সেন্টারে। এক কৃষক অজ্ঞান হয়ে পড়ায় অবিলম্বে শুক্লাপুর ভাগার গ্রামে একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর অনুরোধ আসে। এরপরই অজ্ঞান হয়ে পড়া সেই কৃষক অর্থাত্ সোনেলালকে হাসপাতালে আনতে ছুটে যায় অ্যাম্বুলেন্স। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মোঘাগঞ্জ কমিউনিটি হেলফ কেয়ার সেন্টারের জরুরি বিভাগে ডাঃ মহেন্দ্র ভর্মা এবং ফার্মাসিস্ট হিতেশ কুমারের তত্বাবধানে ভর্তি হন সোনেলাল। কিন্তু, তাঁর শরীর তন্নতন্ন করে পরীক্ষা করে কোথাও সর্পদংশনের একটি চিহ্নও দেখতে পাননি চিকিত্সকেরা। তাহলে!


আরও পড়ুন- আধারের ছবি নাপসন্দ! এভাবে খুব সহজেই করে ফেলুন সমাধান


চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সোনেলালের প্রতিবেশী রাম সেবক এবং রাম স্বরূপের কথাতেই সর্পদংশনের চিকিত্সা করতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু অনেক খুঁজেও তাঁর শরীরে এমন চিহ্ন মেলেনি। তবে, জ্ঞান ফেরার পর সোনেলাল জানিয়েছেন যে, ক্ষেতে ফসল কাটার সময় তিনি একা ছিলেন এবং সেসময়ই তাঁকে সাপে কামড়ায়। আর সেই রাগেই জীবন্ত সাপের মাথা কামড়ে ছিঁড়ে নিয়ে তা চিবিয়ে ফেলেন সোনেলাল। এরপরই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।


তবে, সোনেলাল যতই সর্পদংশনের কথা বলুক, ডাক্তাররা সাপে কামড়ানোর কথা মানতে নারাজ। কিন্তু, তাহলে সোনেলাল কেন অজ্ঞান হয়ে পড়লেন? ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, সাপের মাথা কামড়ে তা চিবিয়ে ফেলায় সোনেলালের শরীরের ভেনম (বিষ) প্রবেশ করে। আর তার ফলেই জ্ঞান হারান সোনেলাল।


আরও পড়ুন- ‘ব্যাঙ্কই দায়ী, আমার ব্যান্ডের দফারফা হয়েছে, ঋণ শোধের আশা খুব কম’, সাফ জানালেন নীরব


সোনেলালের এমন প্রতিশোধ স্পৃহার কথা এখন শুক্লাপুর ভাগার গ্রামের মানুষদের মুখে মুখে ঘুরছে। স্থানীয় অনেকেই গোটা ঘটনায় হতভম্ব। তবে, প্রতিবেশীদের কেউ কেউ আবার বলছেন, সোনেলাল নেশা করেন।