নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরদুপুরে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তুমুল উত্তেজনা। এক অপরিচিত ব্যক্তির হাতে বন্দুক, বিক্ষোভকারীদের দিকে তাক করে গুলি ছুড়ে তাঁর হুমকি, “এই নাও তোমাদের স্বাধীনতা।” কালো জ্যাকেট পরা যুবকের এ হেন আচরণে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রাজঘাটের দিকে পড়ুয়াদের একটি মিছিল যাচ্ছিল। সে সময় ওই ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ে। বিক্ষোভকারী উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ইয়ে লো আজাদি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ ঘটনায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া গুরুতর আহত হন। আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাত্ই এক যুবক ভিড়কে লক্ষ্য় করে গুলি ছোড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয় বলে জানান ওই প্রত্যক্ষদর্শী। গুলিতে জখম পড়ুয়ার নাম সাহিব বলে জানা গিয়েছে। তাঁর হাতে গুলি লাগে। দিল্লির এইমস ভর্তি করা হয়েছে ওই পড়ুয়াকে। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পর থেকেই পুলিসি নিরাপত্তা ছিল। এরপরও প্রকাশ্যে গুলি চালনার ঘটনায় পুলিসকে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই যুবককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস।



আরও পড়ুন- ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রথম থাবা! কেরলের হাসপাতালে ভর্তি পড়ুয়া



কয়েক মাস ধরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শাহিনবাগে সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। অধিকাংশ মুসিলম মহিলারাই ওই বিক্ষোভ প্রদর্শন দেখিয়ে আসছেন। যা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহলে। দিল্লির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মঞ্চে ‘দেশদ্রোহীদের’ গুলি মারার স্লোগান ওঠে। গেরুয়া শিবিরের কোনও কোনও নেতাও বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারা উচিত। এই আবহে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যুবকের গুলি চালনায় দিল্লিবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।