`বন্ধু হতে জানি, তবে দেশের ভূখণ্ডে হাত পড়লে কীভাবে জবাব দিতে হয় তাও জানে ভারত`
গালওয়ানে ২০ জওয়ানের মৃত্যু সম্পর্কে মোদী বলেন, দেশের মানুষ ওইব জওয়ানদের ত্যাগ ভুলবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখে উত্তেজনা নিয়ে বিরোধীদের চাপ ক্রমশই বাড়ছিল প্রধানমন্ত্রীর ওপরে। দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে বলতে হবে কী হয়েছে লাদাখে। রবিবার মাসিক মন কি বাত অনুষ্ঠানে সেই লাদাখ নিয়েই মুখ খুললেন মোদী।
আরও পড়ুন-প্রতি রবিবার সম্পূর্ণ লকডাউন! ৫ জুলাই থেকে কার্যকর এই রাজ্যে
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, লাদাখে প্রতিবেশীকে অত্যন্ত কড়া ভাবেই মোকাবিলা করেছে ভারত। ওখানে যারা আমাদের চ্যালেঞ্জ করেছিল তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। আমাদের বীর সেনাদের বলিদান ওই হামলা স্থায়ী হতে দেয়নি। শহিদ সেনাদের জন্য আমরা মর্মাহত। ওঁদের সাহসই আমাদের শক্তি।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে গত ১৫ জুন শহিদ হয়েছেন ২০ ভারতীয় সেনা। তার পরেই দেশজুড়ে চিনকে পাল্টা জবাব দেওয়ার দাবি উঠছে। গত মে মাস থেকে গালওয়ানের নিকটবর্তি চিনা ভূখণ্ডে সামারিক শক্তি বাড়াচ্ছিল চিন। তিব্বতে তারা একটি রানওয়ে তৈরি করেছে। সেখানে ফাইটার জেটও মোতায়েন করেছে।
চিনের ওই ওই রণসজ্জার মধ্যে পিছিয়ে নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই লাদাখে টি-৯০ ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ভারত। স্থলযুদ্ধে এই ট্যাঙ্ককে দুনিয়ার সেরা ট্যাঙ্ক বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি লাদাখে আকাশ মিসাইলও মোতায়েন করেছে ভারত।
আরও পড়ুন-গত দশ বছরে সূর্য কতটা বদলালো? ‘টাইম ল্যাপ্স’ ভিডিয়ো প্রকাশ করল নাসা
গালওয়ানে ২০ জওয়ানের মৃত্যু সম্পর্কে মোদী বলেন, দেশের মানুষ ওইব জওয়ানদের ত্যাগ ভুলবে না। দেশের সেন্টিমেন্টই ধরা পড়েছে লাদাখে সেনাদের হার না মানা মনোভাবে। ওইসব সেনানিদের কাছে মাথা নত করছে গোটা দেশ।
চিনের নাম না করে বেজিংকে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভারত জানে কীভাবে কারও ভালো বন্ধু হতে হয়। কিন্তু কেউ আমাদের সার্বভৌমত্য ক্ষুন্ন করে তখন তার জবাব কীভাবে দিতে হয় তা ভারত জানে। পূর্ব লাদাখে যা হয়েছে তার জন্য গোটা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফুটছে।